এদিনের রক্তদান শিবিরে প্রায় ৫০ জন দন্তচিকিৎসক রক্তদান করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও রাজ্য সরকারের সমস্ত নির্দেশ মেনে রক্তদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মাননীয়া চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, রাজ্য স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা ড দেবাশীষ ভট্টাচার্য। ভারতীয় ফুটবল টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক প্রশান্ত চক্রবর্তী।
রক্তদান শিবিরের আয়োজনে অভিভূত উপস্থিত সকলেই। ইন্ডিয়ান ডেন্টাল এসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক ড রাজু বিশ্বাস জানান,"রক্তদান শিবিরের আয়োজন প্রতিবছরই হয়। গতবার লকডাউনের মধ্যেই আমরা ব্যবস্থা করেছিলাম, এবারও তাই। ব্লাড ব্যাংক গুলিতে রক্তের অভাব সবসময়ই থাকে, করোনা পরিস্থিতিতে তা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তাই আমরা এই আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধন্যবাদ জানাই সমস্ত রক্ত দাতাদের এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এর স্বাস্থ্য দফতরকে।
advertisement
প্রসঙ্গত, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি এখনও। সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমলেও মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। যদিও কিছুটা আশা দেখাচ্ছে সুস্থতার হার। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে এবার সেফ হোম তৈরি হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নের তরফ থেকে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় ৷ সেখানেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এহেন প্রস্তাব দেওয়া হয় । যেহেতু রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলি এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে তাই সমস্ত স্কুলের বিল্ডিংগুলিকে সেফ হোম হিসাবে ব্যবহার করা যায় কিনা সে বিষয়ে বিবেচনা করতে বলা হয় শিক্ষা দফতরকে। সবরকম ভাবেই বাংলার করোনা পরিস্থিতির সংকট কাটিয়ে উঠতে মরিয়া রাজ্য।
অভিজিৎ চন্দ