ভয়ের নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস :
তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী পর্যায়ে আরও একটি মারণ রোগের সংক্রমণ বাড়ছে দেশে। যার নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করেছে একাধিক রাজ্য। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, বিহার, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবায় একাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবারই রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে প্রথম মৃত্যু হয়েছে খাস কলকাতায়। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখা এই ছত্রাকের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন থেকে চিকিৎসকেরা।
advertisement
কোভিড পরবর্তী সংক্রমণে হোয়াইট ফাঙ্গাস :
এদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সঙ্গে আবার দেখা দিয়েছে হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন উত্তর প্রদেশের ৭০ বছরের এক ব্যক্তি। আক্রান্তের হদিস পাওয়া গিয়েছে বাংলার পাশের রাজ্য বিহারেও। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো ক্ষতিকর নয় হোয়াইট ফাঙ্গাস। পরিচ্ছন্ন থাকা বেশি জরুরি। প্রতিদিন ব্যবহারের মাস্ক পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তৃতীয় ঢেউ-এর অশনি সংকেত :
অন্যদিকে করোনার সেকেন্ড ওয়েভের মাঝেই থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একাধিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থার্ড ওয়েভ নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারীকদের সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে শিশুদের দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কতজন শিশু আক্রান্ত হচ্ছে এই করোনা ভাইরাসে তার তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছেন তিনি। থার্ড ওয়েভে শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গিয়েছে। তাই তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে বেশি সচেতন হতে হবে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গোটা দেশে ভ্যাকসিন সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার উত্তর প্রদেশেও তৈরি হবে কোভ্যাক্সিন। প্রায় ১ কোটি ডোজ তৈরি করবে ভারত বায়োটেক। ভ্যাকসিন উৎপাদনে গতি আনতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কেন্দ্র কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি বার্তা দিয়েছেন একটি ভ্যাকসিনও যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।