প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক বাচ্চাদের কাছে আঁকার প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। শিশুদের উৎসাহ দিতে প্রত্যেকের জন্যই মেডেলের ব্যবস্থা করা হয়। চকলেট উপহার দেওয়া হয়। স্বাধীনতা দিবসের সকালে প্রত্যেক প্রতিযোগী বাড়িতে বসে ছবি আঁকে। বিভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয় আঁকার বিষয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক প্রতিযোগীর বাড়িতে গিয়ে ছবিগুলো নিয়ে আসা হয়।
advertisement
অভিনব ভাবে এই আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা নিয়ে উদ্যোক্তারা বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চারা বাড়িতে ঘরবন্দি। মানসিকভাবে সমস্ত শিশুদের একটু উৎসাহ দিতেই এই অভিনব প্রতিযোগিতা আয়োজন। এই মুহূর্তে কোনও ক্লাবে বা মাঠে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অঙ্কন প্রতিযোগিতা করা সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেক প্রতিযোগী নিজেদের বাড়িতে থেকেই ছবি এঁকে জমা দিয়েছে। এতে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হল না আবার বাচ্চারা উৎসাহ পেল। প্রত্যেক বাচ্চাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এরপর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় যারা হবেন তাদেরকে বাড়িতে গিয়ে পুরস্কার দিয়ে আসা হবে।"
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া উত্তরণ জানায়, "বাড়িতে বসে মন খারাপ হচ্ছিল। কতদিন স্কুলে যেতে পারিনি। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। খেলতে যেতে পারছিনা। তবে এইভাবে বাড়িতে বসে আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে। একটা মজার ঘটনা ঘটল।"
অনেকে মজা করেই বলছেন, বাড়িতে বসে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়তো নিউ নর্মাল এর অন্যতম উদাহরণ।