এই সময়টা খুব একটা হলিডে মোডে থাকার মত সময় নয়। একটা ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে আমরা সকলে যাচ্ছি। এই বিষয়টা ফিল গুড নয়। বেশ চিন্তার ব্যাপার। সময়টা দারুণ ভাবে কাটাচ্ছেন সেটা কিন্তু একেবারেই নয়, এমনটাই জানালেন ঋদ্ধি। অভিনেতা মনে করেন, এটা করোনা এখনও তাঁকে সোজাসুজি ভাবে সমস্যায় হয়তো ফেলছে না। কিন্তু বৃহত্তর ক্ষেত্রে করোনা প্রতিরোধ করা খুব প্রয়োজন। এটা যেহেতু প্রথমবার হচ্ছে, এর শেষ কোথায় সেটা কারো জানা নেই। প্রতিরোধ করার জন্য যদি কিছুদিন গৃহবন্দি থাকতে হয় তাতে কোন অসুবিধা নেই তাঁর।
advertisement
সারাক্ষণ উদ্বেগটা চলছে বলে অনেকটা সময় যে ফাঁকা সেটা মনে হচ্ছে না ঋদ্ধির। তিনি আরো বললেন, 'আমাদের জেনারেশনটা বোধহয় শেষ যাঁরা প্রি ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট পরবর্তী যুগ দুটোই দেখেছি। আগে যেরকম এন্টারটেইনমেন্ট বলতে, বাইরে বেরিয়ে খেলা বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়াটাই ছিল। প্রি ইন্টারনেট যুগে যদি এরকম কোন সমস্যা হতো, যেখানে গৃহবন্দী থাকতে হবে, তাহলে হয়তো ব্যাপারটা একটু চাপের হত। কিন্তু ইন্টারনেটের যুগে অনেক কিছু শেখা যায়। যে কোন বাদ্যযন্ত্র বাজানো, কোন বিদেশি ভাষা, রান্না করা অনেক কিছুই আপনি ইন্টারনেট দেখে শিখতে পারেন। সিনেমা দেখা, কিছু পড়া সেগুলো তো রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আপনি গোটা পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন বাড়ি থেকে না বেরিয়েও। সময়টাকে ঠিকঠাক ব্যবহার করার অনেক সুযোগ রয়েছে।'
'আমি বা অনেকেই নটা- পাঁচটা কাজ করিনা। যাঁরা করেন তাঁদের টানা কাজ করার পর ছুটি মিললে ভালোই লাগে। কিন্তু ছুটিতে যদি স্বেচ্ছায় নেওয়া হতো তাহলে ব্যাপারটা আনন্দের হতো। এরকম চিন্তার নয়,' বললেন ঋদ্ধি। অভিনেতা এক শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে বেশ চিন্তিত। ইন্ডাস্ট্রির অনেক কলাকুশলী আছেন এবং অন্যান্য জায়গায় অনেকে আছেন যাঁরা কাজ না করলে মাইনে পান না। তাঁদের জন্য এতদিন কর্মবিরতি সত্যিই চিন্তার ব্যাপার বলে মনে করেন ঋদ্ধি।