থেনি কে ভিলাক্কুর ওই হাসপাতালে এক পরিবারের সদস্যের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যরা সেই দেহ দেখতে চাইলে, মর্গে ঢুকে করোনায় মৃতদেহের সারি থেকে সেই ব্যক্তির দেহ খুঁজে নিতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে ভর্তি থাকা এমন বহু পরিবারের লোকেরাই এসে দেহটি শেষবার দেখার অনুরোধ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে মর্গে ঢুকে দেহ খুঁজে নিতে বলার নিদানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সেখানে।
advertisement
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, থেনির বাসিন্দা ৪৭ বছরের এক ব্যক্তির করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর। তাঁর পরিবারের লোকেরা সেই দেহ দাবি করলে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁদের। মর্গের কর্মী পরিবারের লোকেদের বলেন, মৃতদেহের সারি থেকে নিজেদের মৃত সদস্যকে খুঁজে নিতে। আত্মীয়রা এমন নির্দেশ পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান। মর্গে ঢুকে তাঁরা দেখতে পান, মাটিতে লাইন দিয়ে একাধিক মৃতদেহ নীল প্লাস্টিকে মুড়ে রাখা রয়েছে। সেখান থেকে কী ভাবে নিজেদের পরিবারের লোককে চিহ্নিত করবেন তাঁরা, প্রশ্ন ওঠে।
পরে এই ঘটনার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরেই নড়চড়ে বসে প্রশাসন। থেনির সরকারি হাসপাতালের ডিন বালাজি নাথন তিন সরকারি কর্মীকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। একজন অস্থায়ী কর্মীকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকি দুই কর্মীকে শো-কজ করা হয়েছে। যদিও এখনও তাঁদের বিরুদ্ধে আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বালাজি নাথন বলেছেন, 'কোভিডের জন্য আমাদের দুটি ঘর রয়েছে। ঘরগুলি খুবই ছোট। এমনিতে করোনায় মৃতদের দেহ আলাদা করেই রাখা হয় যেগুলির ময়নাতদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এদিন একসঙ্গে ১৫টি দেহ এক জায়গায় এসে পড়েছিল।' একইসঙ্গে ডিন স্বীকার করেছেন এই ঘটনায় নিয়ম ভাঙা হয়েছে। মর্গে ঢুকে আত্মীয়দের দেহ চিনে নিতে বলা নিয়মবহির্ভূত।
