রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা এক বাক্যে মানেন, অত্যন্ত কাজের লোক ছিলেন গৌতম চৌধুরী। করোনার প্রথম দ্বিতীয় দুই ঢেউয়েই তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সামনে থেকে। কেন্দ্রের পাঠানো টিকা এয়ারপর্ট থেকে আনা, বাগবাজারের সেন্ট্রাল হেলথ স্টোরে তা নিয়ে যাওয়া, সেখান থেকে গোটা রাজ্যের সর্বত্র তা কী ভাবে পৌঁছবে সবটাই দেখতেন তিনি। পাশাপাশি এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাজ্যের বহু সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের গতিবিধি তদারকি ছিল তারঁই দায়িত্ব।
advertisement
কবে কখন কত টিকা আসতে পারে, সংবাদমাধ্যম হোক বা প্রশাসন, খবরের জন্য তিনিই ছিলেন সংযোগ সূত্র। সিরাম ইন্সটিটিউট বা ভারত বায়োটেরকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। পরিস্থিতি বুঝে বিমানের ব্যবস্থাপনাও করে এসেছেন তিনি। সবটাই হতো নিখুঁত ভাবে, ঠাণ্ডা মাথার গৌতমবাবু কখনও একবারের জন্যেও থমকাননি। এ হেন যোদ্ধার গতিরুদ্ধ করল করোনাই।
করোনার দুই দেহে প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের বহু চিকিৎসকের, স্বাস্থ্যকর্মীর। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৩০ জনের বেশি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। চলে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন নামজাদা স্বাস্থ্যকর্তাও। তাঁদের মধ্যে অনেকেই স্বনামধন্য, কেউ আবার সদ্য কাজ শুরু করেছিলেন। এদের মধ্যেই অগ্রগণ্য ছিলেন গৌতমবাবু। তাঁর মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি গোটা রাজ্যের।
বিস্তারিত আসছে...
-ইনপুট-অভিজিৎ চন্দ
