TRENDING:

করোনা আতঙ্ক থেকে বাঁচতে পথ দেখাচ্ছেন গাঙ্গুলি বাগানের মহিলারা

Last Updated:

অত্যাবশ্যকীয় জিনিসগুলি সরকারিভাবে ও জোগানের কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না। তাতে প্রতিটি নাগরিক যেমন হতাশ। তেমনই আতঙ্কের মধ্যেও রয়েছেন তাঁরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: করোনাভাইরাস, এই আতঙ্ক, কলকাতা শহর থেকে শুরু করে এখন সারাদেশে। আর এরই মধ্যে বাজার থেকে উধাও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। প্রতিদিন হন্যে হয়ে, এই দুটো জিনিসের জন্য প্রতিটি মানুষ দোকানের পর দোকান ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কোনও উপায় নেই। অত্যাবশ্যকীয় জিনিসগুলি সরকারিভাবে ও জোগানের কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না। তাতে প্রতিটি নাগরিক যেমন হতাশ। তেমনই আতঙ্কের মধ্যেও রয়েছেন তাঁরা।
advertisement

দক্ষিণ কলকাতায় গাঙ্গুলি বাগান থিম পার্কে বেশকিছু মহিলা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছেন মাস্ক বানানোর। গতকাল, মঙ্গলবার তারা বাজার থেকে মাস্ক বানানোর উপকরণ কিনে নিয়ে যান। আজ, বুধবার সকাল থেকে তারা মাস্ক বানানো শুরু করে। সঙ্গে স্পিরিট আফটার শেভ লোশন, ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করেছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার।  তৈরি জিনিসগুলি, তারা স্থানীয় মানুষ বাচ্চা, বৃদ্ধ সবাইকে বিলিয়ে দেন। এতে স্থানীয় মানুষেরা খুবই আনন্দিত।

advertisement

যেখানে মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরছেন স্যানিটাইজার ও মাস্ক কেনার জন্য।অতি সহজেই সেখানে সবাই হাতের কাছে পাচ্ছেন প্রয়োজনের জিনিস। এই মুহূর্তে এটি পরম প্রাপ্তি বলে মনে করছেন গাঙ্গুলী বাগানের বাসিন্দারা।  সম্পূর্ণ বিষয়টির উদ্যোগ নিয়েছেন পরিমল দে নামে এক প্রবীণ নাগরিক। এই মাস্ক যে করোনাভাইরাস এর প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়, সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান- 'এন ৯৫ মাস্ক বাজার থেকে উধাও।

advertisement

স্বাভাবিক মাস্ক ও মানুষ চাইছেন। সেই স্বাভাবিক মাস্ক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সেই জায়গাতে কিছুটা সাহায্য করা সবাইকে।এছাড়া আমরা নিজেদের উদ্যোগে,ব্লিচিং পাউডার বানাচ্ছি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানাচ্ছি ও সবাইকে বিলি করছি। এই উদ্যোগকে অনেকে বলছেন,সঠিক নয়।আমার আবেদন, আমরা পথ দেখলাম। সরকার যদি আমাদের সঠিক উপদেশ দেন। তাহলে,আরো উন্নত জিনিস বানাতে পারব।'  এটি অভিনব উদ্যোগ শুধু না।এটা সাধারণ মানুষকে নতুন পথ দেখাচ্ছে।বাজারে প্রতিটি দোকানে যে ভাবে সাধারণ মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরছে,এই সময়, অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়ানোটাই যথেষ্ট।মাঝ সমুদ্রে অসহায় মানুষ যেমন বাঁচার জন্য, খড় কুটো ধরতে চায়। এটা ঠিক সেই, ভাবতে পারে সবাই।

advertisement

কলকাতায় ডেঙ্গু ,ম্যালেরিয়ার প্রকোপে, এর আগে বহু মানুষ মারা গেছে।আবার সেই শহরে,করোনা আক্রমণের ভয়। যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রোগের লক্ষণ,২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনে উহান প্রদেশে প্রথম লক্ষ করা যায়। ১৫ দিনের মধ্যে এই করোনা ভাইরাস (Covid-19) মহামারীর দিকে এগিয়ে যায়। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২০ সালের প্রথমেই প্রতিটি দেশকে সাবধান করে দেয়। কিন্তু রাজ্য সরকার থেকে আরম্ভ করে কেন্দ্রীয় সরকার,ব্যবস্থা নেয়নি। যখন সারা বিশ্বে মহামারীর আকার ধারণ করছে,তার আগেই, বিদেশি দেশ গুলো ,আমাদের দেশ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক কিনে নিয়ে চলে গিয়েছে।  দেশের মানুষ এখন বিপদে।প্রতিদিন করোনা সন্দেহে প্রচুর মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন।

advertisement

ভারতে ইতিমধ্যে তিন জন করোনা ভাইরাসের আক্রমণে মারা গিয়েছেন।এরাজ্যে যদি এই রোগ মহামারীর আকার ধারণ করে,তাহলে অত বড়  পরিকাঠামো যে নেই এখানে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  তবুও, এখনও সেই ভাবে সচেতন হচ্ছে না প্রশাসন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আলোর উৎসবে শক্তির আরাধনা! দীপান্বিতা অমাবস্যায় জগন্নাথ-বড়মা মিলেমিশে একাকার
আরও দেখুন

Shanku Santra

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
করোনা আতঙ্ক থেকে বাঁচতে পথ দেখাচ্ছেন গাঙ্গুলি বাগানের মহিলারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল