নীতি আয়োগ স্বাস্থ্যের সাংবাদিক বৈঠকে একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন ডক্টর পাল। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে কোনও বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরেই তিনি একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'যদি এর কোনও প্রয়োজন থাকে, তবে জনগণকে তা জানানো হবে।' একই সঙ্গে সরকার দেশের প্রত্যেক মানুষকে করোনার বিরুদ্ধে টিকাকরণে উৎসাহিত করছে বলেও ফের একবার মনে করিয়ে দেন তিনি।
advertisement
সাংবাদিক সম্মেলনে ডক্টর পাল বলেছেন, 'যদি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হয় তবে তা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালানো হচ্ছে। কোভ্যাক্সিন দিয়ে ট্রায়াল চালানো হচ্ছে যে, ছয় মাস পর এতে ফের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হবে কিনা। করোনার গাইডলাইন মেনে চলুন। টিকার দুটি ডোজ নিন, তার পর করোনাবিধি ঠিক ভাবে মেনে চলুন। আপনি কঠিন এই রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন, তবু আপনাকে নিয়ম পালন করতে হবে। এই সুরক্ষা ১০০ শতাংশ নয়। এর পরেও যদি কোনও বুস্টার ডোজ প্রয়োজন পড়ে তবে তা আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হবে।'
দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হলেও কমছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বেশ কিছু দিন ধরে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী। যা খানিকটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে গবেষকদের। দেশে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ২ লক্ষের নিচে। দেশের বেশ কিছু অংশে সংক্রমণ কমতে দেখা গিয়েছে, যার প্রভাবে দেশের সক্রিয় করোনা কেসও খানিকটা হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৬৪ জন। গত ৪৪ দিন পর দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা সবচেয়ে কম। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ১৪ এপ্রিল দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ১.৮৪ লাখ ছিল। তারপর থেকে গ্রাফ ক্রমাগত চড়েছে । এই বৃদ্ধির জেরে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৫৭ জন। বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে ভারত। প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা।
