মূলত সাংসদদের কেন ত্রাণ দিতে প্রশাসন বাধা দিয়েছে তা নিয়ে রাজ্যের থেকে জানতে চান রাজ্যপাল। তারই উত্তরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব শনিবার চিঠি পাঠান রাজ্যপালের সচিব কে। সেই চিঠি কে উল্লেখ করে রবিবার ট্যুইট করে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন " আমরা কোথায় আছি! সাংসদদের ত্রাণ বিলির বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র সচিব কি উত্তর পাঠিয়েছেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা মানবো না।" কার্যত স্বরাষ্ট্রসচিবের পাঠানো চিঠির উত্তরে কড়া বার্তা রাজ্য প্রশাসন কে দিলেন রাজ্যপাল বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
এবার করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে ক্রমশই রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতের পারদ চড়ছে। কখনো রাজ্যে লকডাউন এর বিধি মানা হচ্ছে না আবার কখনো রাজ্যে ১০০%সোশ্যাল ডিসটেন্স কার্যকরী না করা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। শুধু তাই নয় রাজ্যে লকডাউন এর বিধি সফল করতে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে বিতর্ক হয়। এর পাশাপাশি শনিবার রাজ্যে রেশন ব্যবস্থা দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি নিয়ে সরব হয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেন " গণবণ্টনে দুর্নীতি প্রতিদিনই বাড়ছে ।সময় বন্ধ না হলে রাজ্যের অতীতের সমস্ত কেলেঙ্কারিকে তা লজ্জায় ফেলে দেবে"। রেশন ব্যবস্থা নিয়ে সরব হওয়ার পর বিজেপির সাংসদদের ত্রান দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল।
শুক্রবার বিজেপির সাংসদদের পক্ষে মুখ খুলে লোকসভার স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করার কথাও উল্লেখ করেছিলেন রাজ্যপাল। সাংসদদের ত্রাণ বিলি তে বাধা দেবার অভিযোগ নিয়ে নোট দিয়ে রাজ্যের থেকে জানতে চায় রাজভবন। তার উত্তরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের পাঠানো বক্তব্যে রাজ্যপাল মোটেও সন্তুষ্ট নয় তা রবিবার টুইট করে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
সোমরাজ বন্দোপাধ্যায়