এক করোনা এবং দুই লকডাউনের জোরা থাবায় উৎসব মরশুমের শুরুটাই ফিকে। বড় পুজোর অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আর তাই উৎসবের বহরও নেই। না আছে বড় মণ্ডপ! নেই বড় প্রতিমাও! মন খারাপ পুজো উদ্যোক্তাদের। টানা দশ দিন ধরে চলতো পুজো। সঙ্গে নানান অনুষ্ঠান। এবারে একটিও বাঁশ পড়েনি পুজোস্থলে। মাথায় হাত ডেকোরেটর্স থেকে মৃৎ শিল্পী, আলোর কারিগরদের। এই সময়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা সেজে উঠতো রঙিন আলোক মালায়। সেখানে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। মারণ করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে শহরে, তাই অনুমোদন দেয়নি প্রশাসন। পুজো হবে নম নম করে। ছোটো প্রতিমায়।
advertisement
শিলিগুড়ির কুমোরটুলির মৃৎ শিল্পী নিরঞ্জন পাল জানান, দেড় থেকে তিন ফিটের বেশী উচ্চতার প্রতিমার বায়না পর্যন্ত আসেনি। বাড়ির পুজোর জন্যে ছোটো প্রতিমাই শুধু বিক্রি হয়েছে। বিধান মার্কেট গণেশ পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা বাপি সাহা জানান, প্রশাসনিক অনুমীদন না মেলায় বড় পুজো এবারে আর করা হল না। সব ঠিক থাকলে আসছে বছর আবার হবে। মন খারাপ ঢাকিদেরও। শিলিগুড়ির হাসপাতাল মোড়, বিধান রোডে গণেশ প্রতিমা কেনার হিড়িক পড়ে যেত প্রতি বছরেই। রাস্তা পারাপারে ঘাম ছুটতো শহরবাসীর। এবারে কিছু সংখ্যক ছোটো প্রতিমা নিয়ে বসেছে মৃৎ শিল্পীরা। কিন্তু বিক্রি নেই। রাস্তায় লোক নেই। রীতি মেনে পুজো হবে। তবে নেই উন্মাদনা।
Partha Sarkar