কয়েকদিন আগে করোনার নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছিল বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের শরীরে। করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর থেকে হোম আইসোলেশনেই ছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। পরিস্থিতি ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। এরপর শুক্রবার সকালে সেখানেই প্রয়াত হন তিনি। অজয় দের মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শকের ছায়া নেমে আসে।
advertisement
শান্তিপুরের দাপুটে কংগ্রেস নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অজয় দে। এলাকার বহু বছরের বিধায়ক। রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল যোগ দেন দলবদলের পর ফের জেতেন বিধানসভার পুনর্নিবাচনে। ২০১৬-তেও অজয় দে-কেই শান্তিপুরে প্রার্থী করে তৃণমূল। কিন্তু CPIM প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য কাছে তিনি পরাজিত হন। এরপর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনেও শাসকদলের হয়ে ভোটে লড়েছেন তিনি। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের কাছে পরাজিত হন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার তেহট্টের বিদায়ী বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্তের। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০। তিনিও কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন।