সূত্রের খবর, তাঁর ঘোষণায় অগ্রাধিকার পাবে দেশের শ্রমিকশ্রেণি এবং মাঝারি ক্ষুদ্র উদ্যোগের সঙ্গে জড়িতরা।
করোনায় অন্য দেশের মতো এ দেশেরও আর্থিক গতি ঝিমিয়ে পড়েছে। হু হু করে পড়়েছে জিডিপি। কমেছে কর্মসংস্থানের সুযোগও। এই অবস্থায় পুনরুজ্জীবনের প্রথম মন্ত্রই হল- কাজের সুযোগ তৈরি করা।সূত্রের খবর, সরকারের মূল লক্ষ্যই এখন তাই। পাশাপাশি আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের যোগান বাড়ানো, কর্পোরেট সংস্থাগুলির কাজের সুযোগ বাড়ানোর কথাও এদিন আসবে নির্মলার ঘোষণায়।
advertisement
মঙ্গলবার রাত আটটায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি আশ্বাস দেন এই প্যাকেজে যেমন লাভবান হবেন ছোট-মাঝারি শিল্প,কুটির শিল্প তেমনই লাভবান হবে কর্পোরেট জগৎ, মধ্যবিত্ত শ্রেণি। ভূমি ও শ্রম আইনের সংস্কারের কথাও জানান তিনি। বলেন এই যাবতীয় বিষয়গুলি বিস্তারিত জানাবেন নির্মলা সীতারমণ। সেই ঘোষণাই আজ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী।
গত ২৬ মার্চ করোনা মোকাবিলায় প্রথম আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজটি গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে ঘোষিত হয়। জানানো হয়, ২০ কোটি মহিলা প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন এই প্যাকেজে। বাড়ানো হয় একশো দিনের কাজের পারিশ্রমিক। প্রধানমন্ত্রী কৃষি যোজনার আওতায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই কৃষকের অ্যাকউন্টে ২০০০ টাকা ঢোকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। প্রবীণ নাগারিক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য মাসে ১০০০ টাকার প্যাকেজ ও দরিদ্রসীমার নীচে থাকা ৮ কোটি ৩০ লক্ষ পরিবারকে ফ্রি-তে এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়ার কথা বলা হয়।
দ্বিতীয় প্যাকেজটি এর প্রায় ১৮ গুণ বড়। প্যাকেজটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ না শুনে, তা কতটা কার্যকর হবে, এইনিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ অর্থনীতিবিদরা। গোটা দেশই তাকিয়ে রয়েছেন নির্মলার দিকে।
