কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রাউন্ড লেভেল থেকে রিপোর্ট জমা দেবে পুরসভায়। সেই ফিভার সার্ভিসের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কমিটি। বৃহস্পতিবার একথা জানান কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের উপর বিশেষ নজরদারি চলবে। পাশাপাশি শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ১০৯ -সহ পাশের ওয়ার্ডগুলিতে ফিভার সার্ভিলেন্স করবে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই ওয়ার্ডেই বাড়ি লন্ডন ফেরত ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত কিশোরের বাড়ি। সেই কারণেই কলকাতা পুরসভার ১২ ও ১১ নম্বর বরোর প্রতিটি ওয়ার্ডে হবে এই ফিভার সার্ভিলেন্স।
advertisement
বিমানবন্দরে ঠিকমত উপদেশ দেওয়া হচ্ছে না বা উপদেশ দেওয়া হলেও তা যাত্রীরা মানছেন না। বিমানবন্দর, রেল স্টেশনগুলিতেও নজরদারি ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান ডেপুটি মেয়র। তাঁর অভিযোগ কাউন্সিলররা অনেকেই রিপোর্ট দিচ্ছেন এলাকায় বিদেশ থেকে যারা এসেছেন তাঁদের সঠিক নির্দেশ দেয়নি এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও কলকাতা, শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশনে কোনও নজরদারই নেই।ভিন রাজ্য থেকে যারা আসছেন তাদের উপর নজরদারি বাড়ানোর পক্ষে সয়াল করেছেন ডেপুটি মেয়র। এমনকি, করোনা কবলিত রাজ্যগুলিতে যারা বাংলা থেকে কাজ করতে গিয়েছেন, তারা ফিরে আসার পর কোয়ারান্টিনে রাখার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রের জন্য আর জমায়েত করা যাবে না। সকাল ন'টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত আবেদন জমা দিলে পাওয়া যাবে টোকেন। সেই টোকেনে মোবাইল নম্বর দেখে পরে ডাকা হবে আবেদনকারীকে।