এতেই আরও আতঙ্ক বাড়ছে ভিনরাজ্য়ের শ্রমিকদের৷ তাঁদের মধ্য়ে অনেকে জানিয়েছেন, লকডাউন হলে গতবছরের মতো পরিস্থিতি ফের তৈরি হতে পারে ৷ কাজ হারাতে পারেন তাঁরা ৷ নিজেদের খাবার জোগানো অসম্ভব হয়ে পড়বে ৷ তাই সিঁদুরে মেঘ দেখে বাড়ি ফিরতে মরিয়া তাঁরা৷ এঁদের মধ্যে কেউ কেউ কাজের তাগিদে পরিবারকে সঙ্গে নিয়েই ভিনরাজ্যে বাস করেন দীর্ঘকাল। কাজ না থাকলে সন্তানদের কী খাওয়াবেন সেই আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরাও৷
advertisement
বাড়ি ফেরার তাগিদে ভিড় দিল্লি, মুম্বই সহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে৷ এবিষয়ে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের অনেকে বলেছেন, গতবছর বহু পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে, সাইকেলে করে বাড়ি ফিরেছেন ৷ এবার যাতে সেরকম পরিস্থিতির মধ্য়ে তাঁদের না পড়তে হয় সেকারণে এখন থেকেই ট্রেনে ফিরছেন তাঁরা। এরইমধ্যে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে তামিলনাড়ুর একদল শ্রমিকদের মুখে৷ তাঁরা বলেছেন, বাড়ি ফিরবেন না ৷ কারণ তাঁদের মতে এইসময় বাড়ি ফিরে যাওয়া একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নয়৷ সেকারণে তামিলনাড়ুতেই থাকবেন৷
রেলের এক আধিকারিক এবিষয়ে জানিয়েছেন, অন্য়বার গ্রীষ্মের সময় বাড়ি ফেরার জন্য় ট্রেনে ভিড় থাকে৷ কারণ এইসময় চাষ করতে বাড়ি ফেরেন ভিনরাজ্য়ের শ্রমিকরা৷ কিন্তু এবার ভিড় একটু বেশিই লক্ষ্য় করা যাচ্ছে ৷ চাষ না থাকলেও অনেকে লকডাউনের আতঙ্কে বাড়ি ফিরতে চাইছেন৷ দেশব্য়াপী লকডাউন হবে না বলেই গত সপ্তাহে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কেন্দ্র বা রাজ্য়, কোনও সরকারই এখনও এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউন আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে ভিনরাজ্য়ে থাকা শ্রমিকদের মধ্য়ে৷ গতবছর যে পরিস্থিতি হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তাই বাড়ি ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা ৷
এদিকে করোনা পরিস্থিতি ও টিকাকরণ নিয়ে এবার রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নায়ডু৷ কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র থেকে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে৷ ওই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে আগামী ১৪ এপ্রিল ওই বৈঠক করা হবে৷ ভার্চুয়াল বৈঠকে দেশের সমস্ত রাজ্যের রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও উপ রাষ্ট্রপতি৷অন্যদিকে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির পর থেকে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়িয়েছে ভারতীয় রেল। পশ্চিম ভারত থেকে উত্তর ভারত জুড়ে ৪৫টি বিশেষ ট্রেনে ৮০ হাজার যাত্রী ভ্রমণ করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে ট্রেন যাত্রার জেরেই করোনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।