তাঁকে ভর্তি করা হচ্ছে কৌশিক চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে৷ তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে৷ তাই আরও কোনওরকম ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা৷ এমনিতেই করোনা ভাইরাস সংক্রমিতদের ফুসফুসে আক্রমণ করে৷ তারমধ্যে তাঁর সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে৷ ফলতঃ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে৷
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে৷ সেই সমস্যা থাকা অবস্থায় অক্সিজেনের মাত্রা যেরকম থাকা উচিত এতদিন তেমনিই ছিল৷ কিন্তু এদিন হঠাৎ করেই খানিকটা অচৈতন্য মতো অবস্থা হয়ে যা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর৷ এদিকে করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। তবে আপাতত তাঁকে আগামী ৭ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত মীরা ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও ঠিক আছে। সেই জন্য পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে থাকতে পারবেন তিনি। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে ফেরেন তিনি।
advertisement
অন্যদিকে সোমবার অবধি বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। বাইপ্যাপ-এর সাহায্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের বেশি ছিল। তবে তিনি কোভিড মুক্ত হননি। বুদ্ধবাবু হাসপাতালে যেতে রাজি ছিলেন না। গৃহ চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাই তাঁকে বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা ছিল৷ তবে যেহেতু তিনি ম্যাসিভ COPD-র রোগী, তাই সতর্কতা নেওয়া ছিল৷ কোনওরকম সমস্যা দেখা দিলেই হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। আর সেটাই করা হল৷
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ওইদিন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যেরও সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সংক্রমণ ধরা পড়ার পর শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মীরা ভট্টাচার্যকে। প্রায় এক সপ্তাহ পর হাসপাতাল থেকে এ দিন বাড়ি ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। টিকা নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও।
