মুকুন্দপুরের একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক, যিনি কয়েকদিন আগে অসুস্থ হন । আমরি হাসপাতাল থেকেই তাঁকে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয় । তারপর থেকে দক্ষিণ শহরতলীর নাকতলা এলাকার বাসিন্দা ওই চিকিৎসক বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন । কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ শুরু করে । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল, চিকিৎসককে অবিলম্বে করোনা পরীক্ষা করতে হবে । সেই মতোই করোনা পরীক্ষা করলে দেখা যায়, করোনা আক্রান্ত তিনি । এরপর তাঁকে বারাসাতের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি ।
advertisement
অন্যদিকে, করোনা চিকিৎসার আঁতুড়ঘরে এবার আশঙ্কার কাল মেঘ। এই প্রথম করোনা আক্রান্ত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এক নার্স এবং দুই সাফাই কর্মী । গত কয়েকদিন ধরে এই তিনজনেরই করোনা উপসর্গ, জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশি ছিল। আক্রান্তদের প্রত্যেককেই আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছিল। তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। সেই নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই আক্রান্তদের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত এই তিনজনেরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে, ভয়ের কারণ নেই বলে জানিয়েছে আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ১৫০ জন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত । মারণ ভাইরাসের থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই চিকিৎসক ।
ABHIJIT CHANDA