মাহোনির ছেলে ব্রায়ান (Brian) জানান, পুরো ঘটনাতেই একটি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ১২ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুর ১টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়, মাহোনিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি অ্যাম্বুল্যান্স করে বাড়ি ফিরছেন। এদিকে ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি পৌঁছাননি বৃদ্ধা। এবার ফের হাসপাতালে ফোন করেন ব্রায়ান। জানান, এখনও বাড়িতে পৌঁছাননি তাঁর মা।
advertisement
রীতিমতো আতঙ্কে ভুগতে শুরু করে গোটা পরিবার। তাঁরা ভেবেছিলেন হয় তো কোনও অঘটন ঘটেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর হাসপাতাল থেকে ব্রায়ানের কাছে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, ভুল করে নিউপোর্ট এলাকার একটি বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তাঁর মাকে। আসলে মহিলার বাড়ির ঠিকানার বদলে আরও ৮ মাইল দূরের একটি ভুল ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। ব্রায়ানের কথায়, ওয়েলস অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিসের কর্মীদের গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও দায়ী। তবে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমেই শেষমেশ সমস্ত বিভ্রান্তি দূর হয়। বৃদ্ধাকে ফের তাঁর সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই ওই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংস্থার তরফে বৃদ্ধার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। তবে ব্রায়ানের বক্তব্য, কর্মীদের এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট কারণ দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর ওই বৃদ্ধাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। তার উপর এক অচেনা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাই চিকিৎসকরা আরও একবার তাঁর স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।