করোনার জন্য এবার বহু পুজো কমিটি ভুগছে আর্থিক সংকটে। এখনও পর্যন্ত অনেক পূজা কমিটি শেষ পর্যন্ত পুজোর আয়োজন করে ওঠা সম্ভব হবে কি না বুঝে উঠতে পারছে না। একইসঙ্গে কাজ না পেয়ে আর্থিক সংকটে ভুগছে মৃৎশিল্পী এবং তাঁদের সহযোগীরা। এই পরিস্থিতিতে দশটি পুজো কমিটির সমস্যা সমাধান করতে এগিয়ে এসেছে চোরবাগান সর্বজনীন। তারা এবার মোট ১১টি ঠাকুর তৈরি করবে। এরমধ্যে একটি ঠাকুর নিজেদের বাকি ১০ টি দেওয়া হবে অন্যান্য পুজো কমিটি গুলোকে।
advertisement
চোরবাগান সর্বজনীনের প্রধান উদ্যোক্তা জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা জানি করোনার জন্য বহু পুজো কমিটির এবার পুজো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের যেহেতু বিজ্ঞাপনের ওপর ভরসা করতে হয় না। নিজেদের অর্থের সংস্থান রয়েছে, তাই এই ভাবনা। প্রথমে ঠিক করেছিলাম অর্থ সাহায্য করবো। কিন্তু পরবর্তী কালে ঠিক হয় মায়ের মূর্তি দিয়ে সাহায্য করা হবে।' যেহেতু ঋণ রাখতে নেই তাই মায়ের মূর্তি বিনা মূল্যে দেওয়া হবে না। এক টাকা থেকে একশ টাকা যে পুজো কমিটি যেমন দেবে সেই মূল্যেই দেওয়া হবে মায়ের মূর্তি।
কিন্তু কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হবে এবং কোন পুজো কমিটির গুলোকে দেওয়া হবে? জয়ন্ত বলেন, 'আমরা আবেদনপত্র নেব সেগুলো দেখে বিচার করে তারপর কোন পুজো কমিটিকে দেওয়া হবে সেটা ঠিক হবে।' এই পুজো কমিটির শিল্পী বিমল সামন্ত বলেন, 'পুজো করতে গেলে আমরা প্রথম যাদের কাছে যাই সেই মৃৎশিল্পী এবং তাদের সহযোগীরা এবার খারাপ অবস্থায় আছে। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা এই দশটা ঠাকুর তৈরি করার কথা ভেবেছি। একইসঙ্গে অনেক পুজো কমিটি আছে যাঁরা অন্তর থেকে পুজো করতে চাইছেন কিন্তু এবার আর্থিক অবস্থা টালমাটাল আছে। তাঁদের সবার কথা ভেবেই এই প্রাঙ্গণে একসঙ্গে এতগুলো ঠাকুর তৈরি করার পরিকল্পনা।'