কলকাতার প্রবীণ চিকিৎসক অমিতাভ নন্দীর কথায়, 'বিশেষ করে করোনা প্রভাবিত দেশ থেকে যে সমস্ত নাগরিকরা কলকাতা বা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আসছেন বিমানে বা অন্য কোনও পরিবহনের মাধ্যমে, তাঁদের নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষায় করোনার উপসর্গ ধরা না পড়লেও নিজের এবং সমাজের স্বার্থে নির্দিষ্ট চিকিৎসাকেন্দ্রে গিয়ে নিজের শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ কিনা তা পরীক্ষা করানো উচিত। বিদেশ থেকে ফিরে হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আগে কোথাও যাওয়া নিরাপদ নয়। একান্তই কেউ যদি হাসপাতালে না যেতে চান তাহলে সেই নাগরিক যেন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকেন'।
advertisement
'হয়তো শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু রয়েছে। কিন্তু কোনও উপসর্গ নেই। এমনটাও হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। সেক্ষেত্রে ওই নাগরিক যদি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান তাহলে সবার অজান্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই বিদেশ থেকে দেশে কিংবা এ রাজ্যে আগত সমস্ত নাগরিকদের আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে'- পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যপাধ্যায়। শ্যামাশিস বাবুর বক্তব্য, নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেই করোনা ভাইরাসকে আমরা ঠেকাতে সক্ষম হব। বিশেষ করে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে যাতে এই সংক্রমণ মহামারির আকার না নেয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে প্রশংসা করে চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিও এখন প্রস্তুত করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে। সচেতন নাগরিকদের উচিত কেন্দ্র এবং রাজ্যের গাইডলাইন মেনে চলা। কোনও কিছু গোপন না করা'। ফলে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক, সামান্য সচেতন থাকলেই করোনা নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই বলে মত চিকিৎসকদের।
VENKATESWAR LAHIRI