এদিকে করোনার থাবা এবার ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের গ্রিভেন্স সেলের এক আধিকারিক কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব কর্মীর করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের অভিযোগে উথাল পাতাল রাজ্য রাজনীতির মধ্যেই বিরোধীদের অভিযোগে খিল দিতে ত্রাণ শিবিরে একেবারে সশরীরে হাজির রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে।
advertisement
বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতার কাশীপুর অঞ্চলে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এলাকার প্রায় ৩০০ পরিবারের হাতে সহায্য তুলে দিলেন। বর্ষীয়ান মন্ত্রী সাধন পান্ডের কথায়, "লকডাউনের ফলে এমনিতেই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা তলানিতেঠেকেছে। কঠিন সময়ে অভাবী, অসহায় মানুষগুলোর পাশে থাকতেই স্থানীয় ক্লাবের মাধ্যমে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।"
বস্তুত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশীপুর অঞ্চলে অবস্থিত অঙ্গীকার ক্লাবের পরিচালনায় এলাকার সাধারণ মানুষের হাতে চাল, ডাল, খাদ্য সামগ্রী ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সশরীরে উপস্থিত থেকে পুরো বিষয়টি সরেজমিনে তদারকি করেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে। স্থানীয় ক্লাব অঙ্গীকার দ্বারা আয়োজিত ঘন্টা দুয়েকের ত্রাণ বিলি অনুষ্ঠানে উপকৃত হন কাশীপুর-বরানগর সহ সংলগ্ন এলাকার তিনশ'রও বেশি পরিবার। কাশীপুর ও চিৎপুর রোডে মূলত হিন্দিভাষী মানুষের বসবাস। লকডাউনের কারণে কল-কারখানা বন্ধ থাকায় অনেক পরিবারের উপার্জন শূণ্য। এই অবস্থায় সাহায্য পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ। লকডাউন চলাকালীন এভাবে আবারও মানুষের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে।
PARADIP GHOSH
