বৃহস্পতিবার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে পূর্ব দিল্লির বহু এলাকার দূষণ ১০০-র নীচে নেমে যায়। দিল্লির উত্তরদিকের পরিস্থিতি 'মাঝারি' দেখা যায়। দক্ষিণ ও পশ্চিম দিল্লিরও দূষণের সূচক ১০০-র নীচে নেমে গিয়েছিল। প্রতিবেশী গাজিয়াবাদ, যেখানে গত বছরে বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে নাম ছিল এলাকার, সেখানে দূষণ সূচকে 'ভালো'-র তালিকায় উঠে এসেছে। গত বছর এখানকার দূষণ সূচক ছিল ৩৮।
advertisement
গুরুগ্রামেও যেখানে দূষণের সূচক থাকে ৫ থেকে ২৯-এর মধ্যে, বৃহস্পতিবার সেখানকার বাতাসও 'ভালো'-র তালিকায় ঢুকে পড়েছে। পরিবেশ দফতরের আধাকারিকেরা জানাচ্ছেন, 'লাগাতার লকডাউন এবং তার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত বায়ুদূষণের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি দিল্লিতে আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে তার পর দূষণের মাত্রা বাড়বে। কিন্তু ভারী শিল্পের চিমনি বন্ধ থাকায়, কোনও রকম নির্মীয়মাণ কাজ না চলার ফলে ধোঁওয়া তৈরি হচ্ছে না। সে কারণে দিল্লির বাতাসের খুব খারাপ অবস্থা এখনই হচ্ছে না।'
গত বছরও লকডাউনের জেরে দিল্লির বাতাসের মান অনেকটাই ভালো হয়ে গিয়েছিল। রাস্তায় গাড়ি কম থাকায়, শিল্পকলগুলি বন্ধ থাকার ফলে দিল্লির বাসিন্দারা পরিষ্কার বাতাস নিতে পেরেছিলেন দীর্ঘ সময়। পরিবেশ দফতরের দাবি, 'বর্ষার সময় দূষণের পরিমাণ সব সময়ই কম থাকে। দিল্লিতে জুনের বর্ষার মরসুম শুরু হয়ে যাবে। দূষণের সূচকও ভালোতেই থাকবে আশা করা যায়।' গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে প্রায় ১১৯.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৫১ সালের পরে এটিই রেকর্ড বৃষ্টিপাত দিল্লিতে। ঘূর্ণঝড় তাউকতাইয়ের প্রভাবে এই ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। দিল্লির বহু এলাকায় জল জমে গেলেও, বাসাতের মান উন্নত হয়েছে।