সালটা ১৯১৮, গোটা দুনিয়া জুড়ে মারণ খেলায় নেমেছে স্প্যানিশ ফ্লু ৷ ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম কুখ্যাত এই মহামারী ৷ করোনা ভাইরাসের মতো সেবারও গোটা দুনিয়া জুড়ে হাহাকার ৷ ঘরে ঘরে মৃত্যু ৷ পুরনো নথি অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে কমপক্ষে ৪০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ৷ শুধু ভারতেই মৃত্যুর নথিভুক্ত পরিসংখ্যান এক কোটিরও বেশি ৷
advertisement
গোটা বিশ্বের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মানুষই এই মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে শোনা যায় ৷ শোনা যায়, সেবারও মহামারীর সময় প্রচুর মানুষ বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরই ভারতে স্প্যানিশ ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে ৷ তবে বলা হয় বিশেষত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে এদেশে ফেরা সেনারাই এই রোগ বয়ে নিয়ে আসেন ৷ তাই মুম্বই (বম্বে), কলকাতা (ক্যালকাটা), দিল্লি এবং চেন্নাই (মাদ্রাজ) অর্থাৎ ভারতের প্রবেশপথ জায়গাগুলিতেই বিপুল হারে ছড়িয়ে পড়ে ৷ ১০২ বছর আগে হওয়া এই মহামারীর সময় মাত্র ৪ বছর বয়স ছিল এই করোনা জয়ীর ৷ জীবনের শুরুতেই মহামারীর মারণ তাণ্ডবের সাক্ষী তিনি ৷
চিকিৎসকদের মতে, তিনিই সম্ভবত দিল্লির প্রথম করোনা আক্রান্ত যিনি ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু-এরও মুখোমুখি হয়েছেন ৷ শতায়ু এই স্পেশাল করোনাজয়ীর ট্রিন্টমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন যে চিকিৎসক তিনি জানিয়েছেন, ‘১০৬ বছর বয়সে তিনি যেভাবে এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়েছেন তা অভূতপূর্ব৷ তবে তিনি ১০২ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় ৷ এতবছর আগে দিল্লিতে সেরকম হাসপাতালও ছিল না, তার কোনও ডকুমেন্টও পাওয়া সম্ভব নয় ৷ তবে বাকি আক্রান্ত বয়স্ক মানুষদের থেকে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি ৷ এত জীবনীশক্তি না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব নয় ৷’ উল্লেখ্য, এই ১০৬ বছরের বৃদ্ধ, তাঁর স্ত্রী-পুত্র সহ ওই একই পরিবারের ৪ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷ তাঁরা প্রত্যেকেই সেরে উঠেছেন ৷