কেন্দ্রীয় ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের বিশেষজ্ঞরা ভারত বায়োটেকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তার পরই শিশুদের উপর এই দেশীয় প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেন। এই দলের সুপারিশ মেনে নিল ডিসিজিআই। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লি এইমস, পাটনা এইমস, নাগপুরের মেডিট্রিনা ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে সেই ট্রায়াল চলবে। যদিও ভারত বায়োটেকের তরফে কোথায় চালানো হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
advertisement
এর আগে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে কোভ্যাক্সিন দেওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছে ভারত বায়োটেক। তারপর তাদের উদ্দেশ্য ছিল ২ থেকে ১২ বছর বয়সিদের জন্য প্রতিষেধক নিয়ে আসা। এ জন্য বহুদিন ধরেই শিশুদের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে চেয়ে কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে আবেদন করেছিল ভারত বায়োটেক। এর আগে সংবাদসংস্থা জানিয়েছিল, যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখার পর দুই থেকে ১৮ বয়সিদের উপর কোভ্যাক্সিনের সুরক্ষা, প্রতিক্রিয়াশীলতা এবং অনাক্রম্যতা পরীক্ষার জন্য শর্তসাপেক্ষে ক্নিনিকাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র দিয়েছিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) বিশেষজ্ঞ কমিটি। যদিও বৃহস্পতিবার ভারত বায়োটেকের তরফে সেইসব শর্তের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। শুধু জানানো হয়েছে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করেছে ডিসিজিআই।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই একটি মামলার শুনানিতে কার্যকারীভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য অবিলম্বে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই শিশুদের টিকাকরণ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি এখন থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়, তাহলে হয়তো তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা যাবে। আর সেটার জন্য বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে টিকাকরণ করতে হবে। শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে (করোনার) তৃতীয় ঢেউ সামনেই আসছে। যা শিশুদের উপর প্রভাব ফেলবে। একটি শিশু যখন হাসপাতালে যাবে, তখন তার মা এবং বাবাকেও যেতে হবে। তাই এই শ্রেণিরও টিকাকরণ করতে হবে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে আমাদের টিকাকরণের জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে এবং সেরকমভাবে প্রস্তুতি সারতে হবে।’