এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক ও প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যসচিব বলেন, "এখনও বেশ কিছু জায়গায় ইভাকুয়েশন পুরোপুরি হয়নি। ইভাকুয়েশন ঠিকভাবে করতে হবে। আপনারা ইভাকুয়েশন এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিন।" একইসঙ্গে করোনা সংক্রান্ত আপৎকালীন ব্যবস্থা রাখার ওপরও বিশেষ জোর দেন মুখ্য সচিব। তিনি নির্দেশ দেন, "কোভিড হাসপাতাল গুলিতে অক্সিজেনের অন্তত দুই থেকে তিনদিনের ব্যাকআপ রাখুন। বিদ্যুৎ চলে গেলে যাতে অক্সিজেনের অভাবে কোনও রোগীর মৃত্যু না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সমন্বয় রেখে চলবেন। সেনাবাহিনী ও আমাদের সঙ্গে থাকবে।"
advertisement
অন্যদিকে, দামোদর নদী থেকে যদি বেশি জল ছাড়া হয় তার জন্য বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে হুগলি জেলা শাসককে। দ্রুত সে বিষয়ে নজরদারি করে রাজ্য প্রশাসনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হুগলি জেলাশাসককে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সবথেকে বাজে পরিস্থিতির জন্য আপনারা তৈরি থাকুন।"
যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলেও ব্যাকআপ রাখা যায় তার জন্য কলকাতা পুরসভাকেও নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব। সিইএসসির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে কলকাতা পুরসভাকে। সুপার সাইক্লোন চলে যাবার পর যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। সাইক্লোন হয়ে যাবার পরই গাছ কাটতে হবে দ্রুত। ডি এম, এস পি দের সঙ্গে বৈঠকে এদিন এমনিই একগুচ্ছ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব। যেহেতু ঝাড়খণ্ডের দিকে এর অভিমুখ রয়েছে সেইজন্য পশ্চিম বর্ধমান বাঁকুড়া পুরুলিয়া পূর্ব বর্ধমান এই জেলা গুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ওই জেলাগুলি থেকেও ইভাকুয়েশন হবে। বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্য সচিব।
