হেঁসেলের অন্যতম উদ্যোক্তা সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুদীপ সেনগুপ্তের দাবি, "লকডাউনের ফলে অনেকেই আটকে পড়েছেন। যারা আটকে পড়েছেন তাঁদের সিংহভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্যের ও দেশের বিভন্ন জায়গা থেকে এসে এখানে কাজ করতেন তাঁরা। মূলত হোটেলেই খাওয়াদাওয়া করতেন কিন্তু লকডাউনের ফলে তাঁরা না হোটেলে খেতে পারছেন, না বাড়ি ফিরতে পারছেন। অনেকের আবার রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে ফলে খাদ্যাভাব্যাড় সম্মুখীন। অনেকের বাড়িতে খাবার আনার কেউ নেই। প্রথমদিকে চাল, ডাল দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু জ্বালানির অভাবে রান্না করতে পারছিলেন না অনেকে। এরপরই রান্না করা খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এলাকার ছাত্র-যুবরা বাজার করার দায়িত্ব নিয়েছে। মহিলারা সামলাচ্ছেন হেঁসেলের দায়িত্ব। খাবার মান, পরিমান ও স্বাদের দিকটা তাঁরাই দেখছেন। যদিত রান্না করার জন্য পেশাদার রাঁধুনির নিয়োগ করা হয়েছে। খাবারের গুনগত মানের সঙ্গে কোনওভাবেই আপোষ করা হচ্ছে না। সেই কারণে এই খাবারের স্বাদ কোনও রেস্তোরাঁর চেয়ে কম নয়।
advertisement
এই কর্মকাণ্ডে বহু মানুষ এগিয়ে এসেছেন। প্রচুর মানুষের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। কেউ টাকা দিচ্ছেন, কেউ সবজি, মাংস কিনে দিয়ে যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত ৩৯ দিনে মোট ২০ হাজারেরও বেশি প্লেট খাবার মানুষকে দেওয়া হয়েছে। আাগামিদিনেও আশা করি দেওয়া যাবে।" লকডাউনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিল সিপিএম। অভুক্ত মানুষকে খাবার দিতেও দলীয় কর্মীদের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। বেশকিছু জায়গায় এরকম উদ্যোগ নেওয়া হলেও দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর ও টালিগঞ্জ ২ এরিয়া কমিটি অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
UJJAL ROY