TRENDING:

Covid Vaccination: সরকার এমন টিকা অনুমোদন করেছে যা বিশ্বে স্বীকৃত নয়, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রচলিত দাবির প্রেক্ষিতে মুখ খুলল কেন্দ্র!

Last Updated:

মুখ খুললেন নীতি আয়োগের সদস্য এবং ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড ১৯-এর চেয়ারম্যান ডা. বিনোদ পাল ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: করোনার টিকা নেওয়া নিয়ে একদিকে যেমন মানুষের মধ্যে এখনও দ্বিধা রয়ে গিয়েছে, তেমনই আবার দেশে প্রচলিত টিকা এবং টিকাকরণ অভিযানে সরকারের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি সেই সব দাবির প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন নীতি আয়োগের সদস্য এবং ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড ১৯-এর চেয়ারম্যান ডা. বিনোদ পাল (Dr. Vinod Paul)। একে একে দেখে নেওয়া যাক কোন দাবির উত্তরে কী বলছেন তিনি!
advertisement

১. সরকার বিদেশ থেকে টিকা আনানোর ব্যাপারে গা করছে না

ডা. পাল বলছেন যে বিষয়টা একেবারেই বিদেশ থেকে শখের কোনও জিনিস কেনার মতো নয়। সরকারের সঙ্গে এই মর্মে আপাতত Pfizer, J&J আর Moderna-র কথা চলছে। কিন্তু এই সংস্থাগুলো নিজেদের দেশের মানুষের টিকার ঘাটতি মিটিয়ে তবেই স্টক পাঠাবে ভারতে। সঙ্গে রয়েছে কিছু শর্তও, যেমন- টিকা নিয়ে কারও মৃত্যু হলে সরকার মামলা করতে পারবে না। এই সব কারণে এই টিকাগুলো এখনও দেশে এসে পৌঁছয়নি।

advertisement

২. সরকার এমন টিকা অনুমোদন করেছে যা বিশ্বে স্বীকৃত নয়

এই দাবিটিও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পাল। তিনি বলছেন যে দেশের টিকাগুলো ইতিমধ্যেই US FDA, EMA, UK MHRA এবং জাপানের PMDA দ্বারা স্বীকৃত। আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO Covaxin-কে উপযোগী বলে তকমা দিয়েছে।

৩. দেশীয় টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার পদক্ষেপ করছে না

advertisement

এই লক্ষ্যে সবার প্রথমে বেঙ্গালুরুতে ভারত বায়োটেকের যে নতুন ল্যাব তৈরি হয়েছে, তার উন্নতিকল্পে ৬৫ কোটি টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে মে থেকে জুন মাসের মধ্যে দেশে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। সরকারের দাবি- এই পদক্ষেপের ফলে জুলাই থেকে অগাস্ট মাসে পরবর্তী ধাপে ভ্যাকসিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ৬ থেকে ৭ গুণ বেশি!

advertisement

ভারত বায়োটেকের মূল কেন্দ্র ছাড়া আরও যে তিন ল্যাবকে এই প্রকল্পের অন্তর্গত করা হয়েছে, তারা হল মুম্বইয়ের হ্যাফকিন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন লিমিটেড (Haffkine Biopharmaceutical Corporation Ltd), হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস লিমিটেড (Indian Immunologicals Limited) এবং বেঙ্গালুরুর ভারত ইমিউনোলজিক্যালস অ্যান্ড বায়োলজিক্যালস লিমিটেড (Bharat Immunologicals and Biologicals Limited)। এদের মধ্যে প্রথমটি রয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের অধীনে, দ্বিতীয়টি ন্যানাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের অধীনে এবং তৃতীয়টি ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজির অধীনে।

advertisement

৪. টিকার লাইসেন্সের বিষয়টি নিয়ে উদাসীন সরকার

পাল বলছেন যে এই লাইসেন্সের বিষয়টা একটু হলেও জটিল, কেন না তা টিকার ফর্মুলা নয়, উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। তাই সরাসরি লাইসেন্সের ব্যবস্থা না করে, বিশেষত Covaxin উৎপাদনের লক্ষ্যে উপরে উল্লিখিত আরও তিন সংস্থাকে যোগ করা হয়েছে যাতে উৎপাদন বাড়ানো যায়।

৫. টিকার ব্যাপারে রাজ্যগুলোর দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না কেন্দ্র

পাল এই দাবিটিকেও নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে কেন্দ্র তার দায়িত্ব নিয়ে বরাবর সজাগ রয়েছে। রাজ্যগুলোই বরং টিকাকরণ অভিযানে সাফল্য লাভ করতে পারছে না। নানা জায়গায় টিকা নষ্ট হচ্ছে। তাঁর পাল্টা দাবি- স্বাস্থ্যগত বিষয়টি অধিবাসীদের জন্য রাজ্যের নিশ্চিত করার কথা, কেন্দ্রের নয়।

৬. কেন্দ্র রাজ্যগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে টিকা পাঠাচ্ছে না

এই যুক্তি কোনও ভাবেই মেনে নিতে রাজি নন ডা. পাল। তিনি বলছেন যে ভবিষ্যতে এখনকার চেয়েও বেশি টিকা রাজ্যে সরবরাহ করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। এই লক্ষ্যে রাজ্যগুলোয় এবং তাদের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও ২৫ শতাংশ করে টিকার জোগান বাড়ানো হবে।

৭. সরকার দেশের শিশুদের করোনা টিকাকরণ নিয়ে উদাসীন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মন্থা আছড়েছিল অন্ধ্রে, নাকানিচোবানি খেল দিঘা, নাগাড়ে বৃষ্টি, তোলপাড় করা দিঘার ঢেউ
আরও দেখুন

এই প্রসঙ্গে ডা. পাল বলছেন যে বিশ্বের কোনও দেশেই এখনও পর্যন্ত শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়নি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিষয়ে এখনও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ব্যাপারে নীরব থাকাই সমীচীন হবে।

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
Covid Vaccination: সরকার এমন টিকা অনুমোদন করেছে যা বিশ্বে স্বীকৃত নয়, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রচলিত দাবির প্রেক্ষিতে মুখ খুলল কেন্দ্র!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল