বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পাল বলেন, “আমরা মহারাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগে রয়েছি। এর থেকে আমাদের দুটো শিক্ষা নিতে হবে। প্রথমত, এই ভাইরাসকে সহজ ভাবে নিলে কিছুতেই চলবে না, আর দ্বিতীয়ত করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে এখনও আমাদের কোভিড বিধি কঠোর ভাবে পালন করে যেতে হবে।”
গোটা দেশের যে দশটি শহরে সব থেকে বেশি কোভিড-সক্রিয় রোগী রয়েছেন, তার মধ্যে আটটি রয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেগুলি হল পুণে, নাগপুর, ঠানে, মুম্বই, অমরাবতী, জলগাঁও, নাসিক এবং ঔরঙ্গাবাদ।
advertisement
মহারাষ্ট্রের ঠানের ১৬টি হটস্পটে ৯ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ৷ ঠানের পুর কমিশনার বিপিন শর্মা জানিয়েছেন, বেশ কিছু এলাকায় গত কয়েকদিনে হু হু করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ ৷ তাই ফের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
দেশজুড়ে লকডাউনের সময় যে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল ৯ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ফের সেগুলি জারি করা হবে ৷ তবে হটস্পটের বাইরে যে এলাকাগুলি সেখানে গতিবিধির উপরে ছাড় দেওয়া হবে ৷ বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জেরে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে থানে ৷ গত ৩ দিনে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দৈনিক প্রায় ১০ হাজারের বেশি ৷ সোমবার অবশ্য সংখ্যা কমে হয়েছে ৮৭৪৪ ৷
এর জেরে মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২২,২৮,৪৭১ ৷ মৃতের সংখ্যা ৫২,৫০০ ৷ বর্তমানে রাজ্যে ৯৭৬৩৭ অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৷ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মহারাষ্ট্রের আরও অংশে কড়া লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।