২০১১ সালের ভোটেই প্রথমবার জয় লাভ করে মন্ত্রিসভায় প্রবেশ করেন তিনি। দমদমে তার বিপক্ষে হেভিওয়েট গৌতম দেবকেই প্রার্থী করেছিল সিপিএম। কিন্তু প্রবল শাসক বিরোধী হাওয়ায় সেবার জয় তুলে নিতে কোন অসুবিধা হয়নি ব্রাত্যর। পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ভোটের ফের একবার দমদম কেন্দ্র থেকে ব্রাত্য বসুকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। সেবারও মমতার এই বিশ্বাসের দাম রেখেছিলেন এই প্রতিবাদী নাট্যকার।
advertisement
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় এই ব্রাত্যকে। একদিকে যেমন দলের মুখপাত্র হয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি, তেমনি অন্যদিকে নিজের এলাকাতেও ছিলেন সক্রিয় ভূমিকায়। সেই কারণেই আরও একবার তাঁর ওপরে আস্থা রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও সেই ভরসার দাম রেখেছেন ব্রাত্য। জয়ের হাসি হেসেছেন তিনি।
বর্তমানে তৃতীয়বারের জন্য জয়ী হয়ে দমদম কেন্দ্র থেকেই বিধানসভায় আসন নিতে চলেছেন তিনি। গত বুধবার একা শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলছে বাকি বিধায়কদের শপথ গ্রহণ পর্ব। কিন্তু গতকয়েকদিন ধরেই কোভিড আক্রান্ত হওয়ায়, অন্যান্য বিধায়কদের সাথে একই সঙ্গে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা হল না ব্রাত্যর। আপাতত কালিন্দীর বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। সোমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটবে। কিন্তু করোনার কারণে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার সম্ভাবনাই বেশি ব্রাত্য বসুর।