লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজে (La Martiniere for Boy's )এর দশম শ্রেণির এক ছাত্র করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছে। আর সেন্ট লরেন্সে আক্রান্ত হয়েছেন এক শিক্ষক। দুই স্কুলের এই সিদ্ধান্ত বোর্ড পরীক্ষার আগে বিপাকে ফেলেছে পড়ুয়াদের। এক দিকে বোর্ডের পরীক্ষা অন্য দিকে করোনার থাবা আতঙ্ক তৈরি করেছে অভিভাবকদের মধ্যেও।
লা মার্টসের দশম শ্রেণিতে প্রি-বোর্ড পরীক্ষা চলছিল। স্কুলে এসেই পরীক্ষা দিচ্ছিল ছাত্ররা। এই অবস্থায় ওই ছাত্রের করোনা হওয়ায় মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয় স্কুল। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সাবধানতার জন্য প্রাথমিকভাবে সাত দিন স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে। যা পরীক্ষা বাকি রয়েছে, তা অনলাইনে নেওয়া হবে। এই পর্বে সমস্ত ক্লাসরুম ও করিডর স্যানিটাইজ করা হবে। পড়ুয়াদের সাবধান করা হয়েছে, কোনও রকম উপসর্গ দেখা দিলেই তারা যেন টেস্ট করায়। শিক্ষকদেরও আসতে বারণ করা হয়েছে। তবে লা মার্টস ফর গালর্সের সমস্ত ক্লাস যেমন হচ্ছিল, তেমনই চলবে বলে জানিয়েছেন লা-মার্টস কর্তৃপক্ষ।
advertisement
অন্যদিকে, সেন্ট লরেন্স (Saint Lawrence Boy's) স্কুলে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক শিক্ষক। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের এই স্কুল ২৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সেন্ট লরেন্সের প্রিন্সিপাল ফাদার সেবাস্টিয়ান জেমস অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জানিয়েছেন, আপাতত শুধুমাত্র অনলাইনে ক্লাস হবে। পড়ুয়া, শিক্ষক ও কর্মীদের এসএমএসের মাধ্যমে স্কুল বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। গোটা স্কুলবাড়ি স্যানিটাইজ করা হবে বলে জানানো হয়েছে ওই এসএমএসে। ২৯ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনেই চলবে পঠনপাঠন। স্কুলে গত শুক্রবার পর্যন্ত উপস্থিত থাকা সকল কর্মী ও পড়ুয়াদের কোভিড টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা যদিও জানিয়েছেন, যে শিক্ষকের করোনা হয়েছে, তিনি মূলত বাড়ি থেকে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছিলেন। তবুও সাবধানতার জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে।