করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কেবল ভারত বিপর্যস্ত নয়। শোচনীয় পরিস্থিতি জাপানেও। ফলে এ বছরও অলিম্পিক বাতিল করে দেওয়ার দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে সেখানে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার হু-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, “অতিমারির দ্বিতীয় বছর প্রথম বছরের তুলনায় অনেক বেশি মারাত্মক হতে চলেছে, আমরা ইতিমধ্যেই তেমনই ইঙ্গিত পেতে শুরু করেছি।” হু ডিরেক্টরের এই মন্তব্য এমন একটি সময়ে এসেছে যখন ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩ লক্ষ ছুঁয়ে ফেলেছে। সরকারি হিসেবে প্রত্যেকদিন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
advertisement
অন্যদিকে, গত বছর অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার পর এ বছর তা হওয়ার কথা ছিল জাপানে। কিন্তু বাড়তে থাকা সংক্রমণের কারণে সেই আয়োজন আদৌ করা যাবে কি না সেটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। অলিম্পিক শুরু হতে আর মাত্র ১০ সপ্তাহ বাকি। তার আগেই এ দিন দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে জাপানে। কমপক্ষে সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ একত্রে স্বাক্ষর করে আবেদন জানিয়েছেন অলিম্পিক যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর আগেই টোকিওর মতো একাধিক শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। এ বার হিরোসিমা, ওকায়ামা এবং হোক্কাইডোর মতো শহরেও জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।
প্রসঙ্গত, দেড় বছর আগে করোনার হদিস মিলেছিল চিনে। তবে চিন সেই ধাক্কা সামলা উঠেছে। তবে চিন থেকে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। এবং বিশ্ব এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি। এদিকে যখনই করোনার উৎস সন্ধানের চেষ্টা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক মহল, তখনই বাধা দিয়েছে বেজিং। এই আবহে অস্ট্রেলিয়ার এক ওয়েবসাইটের দাবি, ২০১৫ সালেই করোনাকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভেবেছিল চিন।