এই নন এসি কোচ গুলিতে রয়েছে ১০ টি করে কেবিন। প্রত্যেকটি কেবিনে রয়েছে একটি করে বার্থ, কোচে রয়েছে একাধিক শৌচাগার। চারটি শৌচাগারের মধ্যে তিনটি ভারতীয় শৌচাগার এবং একটি ওয়েস্টার্ন টয়লেট। প্রত্যেকটি কেবিনে একজন করে আক্রান্ত থাকতে পারবেন। দুটি টয়লেটকে সম্পূর্ণ স্নানের যোগ্য শৌচাগার হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একটি কেবিনে ডান দিকে তিনটি বার্থ খুলে ফেলা হয়েছে, আর বাঁদিকে রয়েছে আপার বার্থ এবং লোয়ার বার্থ। মাঝখানে ওঠার মই খুলে ফেলা হয়েছে। ঢেকে দেওয়া হয়েছে পর্দা দিয়ে। কেবিনের মধ্যে রয়েছে চার্জিং পয়েন্ট ফলে। যে কেউ এটি সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। কেবিনে রাখা রয়েছে বোতল রাখার জায়গা। একাধিক ব্যাগ ও কোন কিছু ঝুলিয়ে রাখার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। রয়েছে ওষুধ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখার জায়গাও।
advertisement
শৌচাগারে রয়েছে বেসিন। হাত ধোওয়ার একাধিক কল রয়েছে, স্নানের জন্য থাকছে শাওয়ার সাবান ইত্যাদি রাখার জায়গা। ফলে সহজে বাড়ির বাথরুমের মতোই এটিকে ব্যবহার করতে পারবেন যে কেউ। চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য রয়েছে আলাদা থাকার জায়গা। যেখানে চিকিৎসকরা এবং থাকতে পারবেন বিশ্রাম নিতে পারবেন। আলাদা করে একটি পর্দা দিয়ে চিকিৎসক এবং আক্রান্তদের জায়গা পৃথক করা হয়েছে।
বলা হয়েছে আগামী ১০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৬ এপ্রিলের মধ্যে এরকম ২৮ টি কোচ তৈরি করে ফেলা হবে। তারপর ৭ এপ্রিল থেকে সপ্তাহে দুটি করে এরকম কোচ প্রস্তুত করতে পারবে ভারতীয় রেল। সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেই রোগী পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই অস্থায়ী হাসপাতালে ব্যবস্থা করেছে নর্দান রেলওয়ে। একে বলা হচ্ছে ‘আইসোলেশন কোচ।’