এই ভ্যারিয়েন্ট (Delta Plus Variant) নিয়ে উদ্বেগের কারণ কী ?
এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে কারণ, গোটা বিশ্বে ২০০ জন সংক্রমিতের মধ্যে ৩০টি কেসই ভারতের। কাজেই, অদূরে ভবিষ্যতে এই ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডেল্টা থেকেই ভাইরাস রূপ বদলে তৈরি হয়েছে ডেল্টা প্লাস (Delta Plus)। ভারতের ডেল্টা প্রজাতি (বি.১.৬১৭.২) নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। কেননা, এই প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে। অনেক দ্রুত আরও বেশি সংখ্যায় মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে গবেষণায়।
advertisement
ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ :
ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খিদে চলে যাওয়া, জয়েন্ট পেন এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি জ্বর, ক্লান্তি, গলায় ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শুকনো কাশি, চামড়ায় সমস্যা, ডায়েরিয়া, মাথায় যন্ত্রণা, স্বাদ চলে যাওয়া, গন্ধ চলে যাওযার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কতটা বিপজ্জনক (Delta Plus Variant) এই প্রজাতি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) মানুষের শরীরে প্রবেশ করে আরও দ্রুত ফুসফুস আক্রমণ করতে পারে। যে কোষগুলি ফুসফুসের চারপাশে ঘিরে রয়েছে, সেগুলিকে দ্রুত ভেঙে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে, জানিয়েছেন গবেষকরা।
এ ছাড়া মোনোক্লানাল অ্যান্টিবডি ককটেল খুব একটা কার্যকরী নয় এই ডেল্টা প্লাসের ক্ষেত্রে। তাই এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হলে শরীরে প্রভাব পড়তে পারে মারাত্মক। এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। জাপান, সুইৎজারল্যান্ড, ব্রিটেন, আমেরিকা-সহ মোট ৯টি দেশে ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে এই নয়া প্রজাতির প্রমাণ। যে কোভিড প্রতিষেধকগুলি এখন পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো এই নয়া প্রজাতির ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু বিজ্ঞানী। তবে, এই নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে।
প্রচলিত ভ্যাকসিন ডেল্টা প্লাস কে কি আদৌ কাবু করতে পারবে ?
এটি এখনও প্রমাণিত নয়। তবে সতর্কতা প্রচন্ড পরিমানে মেনে চলা উচিত বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কলকাতার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিকের কথায়, 'এই স্ট্রেনের প্রথম ধর্মই হচ্ছে মানুষের ফুসফুসকে আঁকড়ে ধরা। স্বভাবতই সংক্রমণ যখন হবে তখন তীব্র হবে। দ্বিতীয় ধর্ম হচ্ছে একসঙ্গে অনেক বেশি মানুষকে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়া'।