‘এসইসি’ ভারত বায়োটেকের এই রিপোর্ট এবার পর্যলোচনার জন্য পাঠাবে ড্রাগস কন্ট্রোল অব ইন্ডিয়া (ডিজিজিআই)-এর কাছে। ভারত বায়োটেক মঙ্গলবার তাদের ডাটা নিয়ে প্যানেলের কাছে উপস্থাপনাও করেছে। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়ে ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ (ইওআই) গ্রহণ করেছে। আগামী ২৩ জুন হুর পক্ষ থেকে একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে কোভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে। হু-র জরুরি ব্যবহার তালিকা থেকে কোভ্যাকসিন এক কদম দূরে বলে আশা প্রকাশ করেছে ভারত বায়োটেক সংস্থা।
advertisement
হু জানিয়েছে, ভারত বায়োটেকের সামনে আরও একটি সুযোগ রয়েছে ভ্যাকসিনের সামগ্রিক মান নিয়ে আরও একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার। এই তথ্য সামনে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট ‘স্ট্যাটাস অব কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন’ থেকে। গত মাসে ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা আশা করছে আগামী জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যেই হু-র জরুরি ব্যবহার তালিকায় স্থান করে নেবে কোভ্যাক্সিন।
গত এপ্রিলে ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়, কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় অভ্যন্তরীণ ট্রায়ালে ৭৮ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। মার্চে প্রথম অভ্যন্তরীণ ট্রায়ালে করোনা রুখতে কোভ্যাক্সিন ৮১ শতাংশ সক্ষম হয়েছে দাবি করেছিল ভারত বায়োটেক। প্রথম এবং দ্বিতীয় অভ্যন্তরীণ ট্রায়ালে যথাক্রমে ৪৩ জন এবং ১২৭ জনের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দ্বিতীয় দফায় গুরুতর করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গিয়েছে। কমেছে হাসপাতালে ভরতি হওয়া রোগীর সংখ্যাও। উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনে ৭০ শতাংশ কার্যকারী বলে দাবি করা হয়েছিল।