করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ (Coronavirus Vaccine) নিয়ে শুরু থেকেই একাধিক জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে সাধারণ নাগরিকদের। প্রতিদিন শহরের সব টিকাকরণ(Covid-19 Vaccination) কেন্দ্র গুলোতে সূর্য ওঠার অনেক আগে থেকেই মানুষের লাইন পড়ে যায়। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। কেউ পেয়েছেন কোভিশিল্ড আবার কেউ পেয়েছেন কোভ্যাক্সিন। কিন্তু বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার অন্যতম প্রশাসক অতীন ঘোষ জানান শুক্রবার থেকে পুর এলাকার মধ্যে কোথাও কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে না। কারণ, যোগান নেই কোভ্যাক্সিন-এর।
advertisement
তার ফলে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার যাঁদের এখন সময় ছিল তাঁরা পড়েছেন বিপদে। ফুল বাগানে বোরো তিনের অফিসে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে শুরু থেকেই। কিন্তু আজ বন্ধ আছে। আগে থেকে এলাকায় পুরসভার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই অন্যান্য দিনের মত সকাল বেলা থেকে লাইন পড়েনি। তারপরও অনেক মানুষ না জেনে থাকায় ফিরে যাচ্ছেন।
আজ বোরো অফিসে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না তা না জেনেই সকাল-সকাল হাজির হয়েছিলেন ভারতী সাহা। তিনি বলেন, 'আমার কাছে এসএমএস কাল এসেছে। সেজন্য সকালবেলা এসেছিলাম। এখানে দেওয়া হচ্ছে না। কতদিনে পাবো সেটাও বলতে পারছে না'। বছর ৭০ এর পঞ্চানন বোস বলেন, 'আগে একদিন এসেছিলাম। অনেক লাইন ছিল বলে ফিরে গিয়েছিলাম। আজকেও ফিরে যাচ্ছি। ভ্যাকসিনের সময় পেরিয়ে গেলে কী করব বুঝে উঠতে পারছিনা।'
এদিন এসএসকেএম-এ কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। পেয়েছেন মাত্র ৫০ জন। কিন্তু ভোরবেলা থেকে কোভ্যাক্সিন-এর দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার আশায় লাইন দিয়েছিলেন অন্তত শ'দূয়েক লোক। তাঁদেরই একজন প্রসেনজিৎ ঘোষ যিনি লাইনে ৫০ নম্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, 'নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে।'
যদিও লাইনে অপেক্ষারত বাকিদের হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। তাঁদের মধ্যে একজন শান্তনু দাস বলেন, 'বেসরকারি জায়গায় যদি কোভ্যাক্সিন পাওয়া যায় তাহলে সরকারি জায়গায় কেন পাওয়া যাবে না? আমাকে ২৭ তারিখের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে না পাই তাহলে কী করব সেটাও কেউ বলতে পারছেন না।'