গত মে-জুন মাসে উত্তরপ্রদেশে এই গবেষণা চালায় আইসিএমআর। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে, 'কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ডের মিশ্র টিকার সমীক্ষায় ভাল ফল মিলেছে। এই মিশ্রণ টিকা শুধুমাত্র যে নিরাপদ তাই নয়, করোনার বিরুদ্ধে বাড়তি কার্যকারীও।' দেশে অনেক জায়গাতেই ভ্যাকসিনের অভাব এবং ভুল বশত কিছু জায়গায় ভারতে দেওয়া হচ্ছে যে দুই ভ্যাকসিন তা একই ব্যক্তিকে দুই ডোজে আলাদা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাকসিনের মিশ্রণ শরীরে ক্ষতির বদলে বরং বেশি কার্যকরী হয়েছে বলেই আইসিএমআরের দাবি উল্লেখ করছে।
advertisement
সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ICMR-এর দাবি, অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিনের সঙ্গে ইনঅ্যাক্টিভেটেড হোল ভাইরাসের টিকার ককটেল শুধু নিরাপদই নয়। অনেক বেশি সুরক্ষিতও। একইসঙ্গে ICMR-এর দাবি, ভারতে যে দু'টি টিকা প্রথম থেকে দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন তাদের মধ্যে কোন টিকা বেশি কার্যকর করোনার দুই রূপের বিরুদ্ধে?
এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে তাদের দাবি, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন এই টিকা দু'টি ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাস রূপের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা ভাবে কার্যকর। ডেল্টা রূপের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড। তবে যদি কোনও ব্যক্তি এক বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং তার পর তাঁকে কোভিশিল্ডের দু'টি টিকা দেওয়া হয় তা হলে ডেল্টা রূপের বিরুদ্ধে তা অনেক বেশি কার্যকর। মানবদেহের কোষ ও হরমোন গ্রন্থিগুলিকে অনেক বেশি রোগ প্রতিরোধী বানাতে সাহায্য করে এই টিকা। ফলে শরীর করোনার ডেল্টা রূপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। অন্য দিকে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন অনেক বেশি কার্যকর ডেল্টা প্লাস রূপের বিরুদ্ধে।
