রবিবার গোটা দেশ যখন জনতা কার্ফুয়ের সময় ঘরবন্দী,গোটা দেশ যখন অঘোষিত লক ডাউনের পথে। তখন আমার আপনার মতই কিছু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, প্রাণের তোয়াক্কা না করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালককে না নেই এই দলে!রবিবার গোটা কলকাতা যখন গৃহবন্দী, শহরের রাস্তা পুরো শুনশান, ফাঁকা, তখনই নাওয়া খাওয়া ভুলে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে একদল অকুতোভয় চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তারক্ষীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। নামে আট ঘন্টার ডিউটি,কিন্তু খাওয়ার ফুরসতও মেলে না। তাতেও কিন্তু কোনো অনুযোগ নেই। প্রচারের অলক্ষ্যে এই মানুষগুলো নীরবে কাজ করে চলেছে।
advertisement
রবিবার সকাল থেকে যখন একদিকে শহর জুড়ে জনতা কার্ফু, তখন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে কয়েকশো মানুষের ভিড়। কেউ বিদেশ থেকে ফিরেছেন,কেউ বা অন্য রাজ্য থেকে ফিরেছেন,কেউ বা আবার আতঙ্কিত হয়ে সাধারণ জ্বর, সর্দি কাশি নিয়ে চলে এসেছেন আইডি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে করোনা পরীক্ষা করাতে। ফলে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মী,নিরাপত্তারক্ষীদের। এছাড়াও প্রতি মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে রোগীরা আসছে। এই অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন।
শুক্রবারই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সমস্ত সরকারি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। তবুও দেশজোড়া বিপর্যয় ঠেকাতে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার সঠে যুক্ত মানুষেরা লড়াই চালাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দুদিন আগেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসক,নার্সদের প্রশংসা করেন। তবুও এই মানুষগুলো মনে করেন, কোনও প্রশংসা নয়,তারা তাদের কর্তব্য পালন করছে। মানুষ যেন সতর্ক,সচেতন থাকে, তবেই এই প্রাণঘাতী করোনাকে রোখা সম্ভব।