শাপিরা আমাদের জানাচ্ছেন যে, আদতে কিন্তু এই লড়াই সহজ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কেন না, শরীরের ভিতরে একবার ঢুকে যাওয়ার পর এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটাচ্ছে করোনাভাইরাস। সে সরাসরি রূপ পালটে ফেলছে, রোগীর শরীরের ইমিউন প্রোটিনের চেহারা ধারণ করছে। অর্থাৎ শরীরের যে রোগপ্রতিরোধকারী প্রোটিন ভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারে, করোনা তারই ছদ্মবেশ নিচ্ছে। ফলে শরীরের অভ্যন্তরের গোটা সিস্টেম পড়ে যাচ্ছে ধন্দে। বুঝে উঠতে পারছে না যে কোনটা আদতে ভাইরাস আর কোনটাই বা ইমিউন প্রোটিন! যতক্ষণে বুঝে উঠছে, ততক্ষণে শরীরকে কলকবজাকে ভেঙেচুরে দিচ্ছে করোনা!
advertisement
তবে শাপিরার মতে ভাইরাসের এই ছদ্মবেশ নেওয়াটা প্রকৃতির নিয়মের মধ্যেই পড়ে। অনেক প্রাণীই নিজেদের শক্তিশালী অন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য যেমন ক্যামোফ্লেজের সাহায্য নিয়ে থাকে, এ ব্যাপারটাও ঠিক তাই! আর শুধু করোনাই নয়, জীবজগতের আরও অনেক ভাইরাসেরই রয়েছে এই রূপ বদলে ফেলার ক্ষমতা। করোনা মারাত্মক এ কারণেই যে তা আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে!
৭০০০ ভাইরাস এবং ৪০০০ হোস্ট বা রোগীর উপরে পরীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন শাপিরা এবং তাঁর দল। তাঁর দাবিকেই সমর্থন করেছে এর আগে প্রকাশিত হওয়া অন্য সমীক্ষাও। যা বলছে যে অনেক রোগীরই ইমিউনিটি সিস্টেম করোনাভাইরাসকে চিনে উঠতে পারছে না, বরং তা তাকে সাহায্যই করছে। যার পরিণামে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর হারও!
