রবিবার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে প্রায় ৬৬,৩০০। তার মধ্যে ১৭,৮৮৩ জন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। যার ফলে মোট সংক্রমণের সংখ্যাহয়েছে ১২,৮৪,৯৭৩। এদিন রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯,৬৭০ জন। যা এক নতুন রেকর্ড। এর ফলে মোট সুস্থতা বেড়ে হয়েছে ১১,৪১,৮৭১।
সোমবারের বুলেটিন অনুসারে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। যার ফলে মোট মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১৪,৫১৭। এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৭ জন ও কলকাতায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবারের পর মঙ্গলবারও রাজ্যে লক্ষণীয় ভাবে কমেছে অ্যাক্টিভ কেস। সোমবার রাজ্যে ১,৯৪০টি অ্যাক্টিভ কেস কমেছে। যার ফলে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,২৮,৫৮৫। রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮৮.৮৬ শতাংশ। প্রতি শতকে সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ১০.৭২।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রবিবার বেশ কিছু পরীক্ষাগার বন্ধ থাকায় সোমবার সাধারণত সংক্রমণ একটু কম দেখায়। সোমবারের পরীক্ষার ফল মঙ্গলবার জানা গেলে বোঝা যাবে সংক্রমণের আসল চেহারা। তবে রাজ্য প্রশাসনের মতে কাজে দিচ্ছে রাজ্যজুড়ে করোনা মোকাবিলায় কড়া বিধি নিষেধ। প্রসঙ্গত, সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে জোর দেওয়া হয়েছে টিকাকরণেও। ঘূর্ণিঝড় যশের প্রস্তুতির মাঝেও করোনা টিকাকরণ যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্যও বিশেষ বন্দোবস্ত করছে প্রশাসন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশেষ বিদ্যুৎ পরিষেবারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এরই মধ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় সামান্য হলেও স্বস্তিতে রাজ্য সরকার।
