কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। তৃতীয় ঢেউয়ে আরও বাড়তে পারে সেই প্রবণতা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গবেষণায় সে তথ্য উঠে এসেছে। চিকিৎসকমহলও সে ইঙ্গিতই দিয়েছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৩-৬ বছর বয়সী শিশুদের আক্রান্তের হার ২.০১%। ১৭ বছর পর্যন্ত কিশোরদের আক্রান্তের হার প্রায় ২১%। পরিস্থিতি সামলাতে আগেভাগেই সমস্ত জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে PICU ও SNCU তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ।
advertisement
স্বাস্থ্য দফতরের নতুন এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৯০ দিন থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের সামান্য উপসর্গ থাকলে ভর্তি করা হবে কোভিড আক্রান্ত মহিলা ওয়ার্ডের ১০০০ শয্যায়। SNCU এর ২০ শতাংশ শয্যা রাখা হবে এক দিন থেকে ৯০ দিনের শিশুদের জন্য। অর্থাৎ ৩৫০ টি SNCU শয্যায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে গুরুতর করোনা আক্রান্ত শিশুদের জন্য। তবে করোনা আক্রান্ত নয় এমন শিশুদের ক্ষেত্রে শয্যা সংখ্যা অপরিবর্তিতই থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
তৃতীয় ঢেউ এর ধাক্কার আগেই কমপক্ষে ১৩০০ পিকু শয্যার বন্দোবস্ত রাখা হবে বলেও এই নির্দেশিকাতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরগুলিকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে দেওয়া হবে উপযুক্ত প্রশিক্ষণও। জেলাগুলিতে হাসপাতালের নার্সদেরও কোভিড সংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে এই গাইড লাইনে বলা হয়েছে।
কোভিড আক্রান্ত শিশুদের ব্রেস্ট ফিডিং-সংক্রান্ত নিয়মাবলীও এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জানান হবে। আক্রান্ত শিশুর সুরক্ষায় স্তন্যপানের সময়ে কী কী সাবধানতা মা-কে অবলম্বন করতে হবে তাও বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দেওয়ার শুরু করতে হবে জোনাল স্তরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে। এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশিক্ষণ জুলাই মাসের মধ্যেই শেষ করতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। একইসঙ্গে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে আগামী অগস্ট মাসের শেষেই কোভিড সুরক্ষা বিধি সংক্রান্ত যাবতীয় ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি জেলা স্বাস্থ্য দফতরগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়