AIIMS এবং WHO-এর বিশেষজ্ঞদের দাবি প্রথম দুই ঢেউয়ের থেকে তৃতীয় ঢেউয়েই শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ১৫ মার্চ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ৪,৫০৯ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা হয়। এদের মধ্যে ৭০০ জনের বয়স ২ থেকে ১৭ বছর, ৩৮০৯ জন ১৮ এবং তার চেয়ে বেশি বয়সী। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল দিল্লি, ফরিদাবাদ, আগরতলা এবং গোরক্ষপুর থেকে। শিশু এবং নাবালকদের মধ্যে ৫৫.৭ শতাংশ এবং ৬৩.৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের কোভিড 19 অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। এর থেকেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান যে তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও আগামী দিনের সম্ভাবনা নিয়ে এখনই চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বলছেন AIIMS বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পরামর্শ কবে কী হবে তার জন্য এখনই গুজব এবং আতঙ্ক ছড়ানো অন্যায় হবে।
advertisement
তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Covid Wave) ক্ষেত্রেও আশা করা হচ্ছে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষরা স্বস্তিতে থাকবেন। শহরাঞ্চলেই তৃতীয়বারের মতো ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। তবে গ্রামের বাচ্চাদের সাবধানে রাখতে হবে। কারণ আমাদের দেশের গ্রামগুলিতে বড়দের তুলনায় ছোটোদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা অনেকটাই কম দেখা যায়। তুলনায় শহরের শিশুদের প্রতি যত্ন নেওয়া হয় অনেকটাই বেশি।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউ কম শক্তিশালী হলেও অক্টোবর মাসেই দেশে আছড়ে পড়েতে পারে তৃতীয় ঢেউ (Third Covid Wave)। এটি শুধু ভারত নয় একই সময় আছড়ে পড়বে প্রায় গোটা বিশ্বেই। এবং তার রেশ থাকতে পারে আরও এক বছর। যদিও তীব্রতা অনেকটাই কম থাকবে। দেশে দ্রুত হারে টীকাকরণের চেষ্টা চলছে। এর ফলেই সংক্রমণের তীব্রতা কমবে বলে। ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে শিশুদের টীকাকরণ এখনও শুরু হয়নি।
এদিকে অক্টোবর মাসে তৃতীয় ঢেউ (Third Covid Wave) শুরু হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফের চিন্তায় বাঙালি। দুর্গাপুজোর আনন্দ মাটি তো হবেই তার উপর পুজোকে কেন্দ্র করে আর্থিক ক্ষতি হবে ব্যাপক হারে। গতবছর পুজোর সময় একেবারেই ব্যবসা করতে পারেননি ছোটো এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা। এবছরও হয়তো তার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। সেটাই এখন চিন্তার।
