পরিকল্পনা অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি হলে সেই এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবা ছাড়া রেড জোনে সবকিছু বন্ধ ৷ এমনকী এলাকা থেকে কোনও বাসিন্দা বেরতে পারবেন না ৷ বাইরে থেকে কেউ এলাকাতে ঢুকতেও পারবেন না ৷ রেড জোনে সম্পূর্ণ বাড়িতেই থাকতে হবে ৷
এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভার কোন কোন এলাকা এই রেড জোনের মধ্যে পড়ছে, দেখে নিন এক নজরে।
advertisement
উত্তর কলকাতা
--
কাশীপুর
বেলগাছিয়া
বরাহনগর
দক্ষিণ দমদম
হাতিবাগান রোড
গিরিশপার্ক
মানিকতলা
মধ্য কলকাতা
-
কলুটোলা
মেছুয়া
জোড়াসাঁকো
বউবাজার
আমহার্স্ট স্ট্রিট
এপিসি রোড
মুক্তারামবাবু স্ট্রিট
নারকেলডাঙা নর্থ রোড
রাজাবাজার
কলিনস স্ট্রিট
রিপনস স্ট্রিট
বেনিয়াপুকুর
কড়েয়া
পূর্ব কলকাতা
-
এন্টালি
ট্যাংরা
তোপসিয়া
তিলজলা
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট
বেলেঘাটা
ডক্টরস লেন
দক্ষিণ কলকাতা
--
ভবানীপুর
পদ্মপুকুর
মুদিয়ালি
গড়চা
গড়িয়াহাট সংলগ্ন অঞ্চল পণ্ডিতিয়া রোড
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড
আলিপুর
চেতলা
মেটিয়াবুরুজ
নয়াবাদ
ভবানীপুর
নিউ আলিপুরের বেশ কিছু অঞ্চল
দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতা
ঢালিপাড়ার বেশ কিছু ছোট এলাকা
কবরডাঙার বেশ কিছু ছোট এলাকা
বেহালা ও পর্ণশ্রীর কয়েকটি এলাকা
রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেড। গার্ড রেল দিয়ে রাস্তার মুখ সিল করে দিয়েছে পুলিশ। তাও কারণে-অকারণে রাস্তায় অসংখ্য মানুষ। পুলিশ ধরলেও তৈরি অজুহাতের তালিকা। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা পেয়েই কাজে নেমে পড়েছে পুলিশ। কলকাতাজুড়ে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। গার্ড রেল দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছে বড় রাস্তা থেকে অলি-গলির মুখ। তারপরেও লকডাউন মানার বালাই নেই শহরবাসীর একাংশের মধ্যে।
হাজরা মোড়ের দখল নিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গাড়ি থামিয়ে রীতিমতো চলছে জেরা। পার্ক সার্কাসের মতো নিয়ম ভাঙার ছবি রাজাবাজারেও। ফুলবাগান পর্যন্ত গোটা নারকেলডাঙা মেন রোড সিল করে দিয়েছে পুলিশ। বসানো হয়েছে গার্ডরেলও। তবে সেই গার্ড রেল টপকেই চলছে যাতায়াত।
উত্তর কলকাতার মোহনবাগান লেনের অবস্থা দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। নিয়ম ভেঙে হাটে-বাজারে ভিড়ে ভিড়। পারস্পরিক দূরত্ব মানারও বালাই নেই। স্পর্শকাতর কলকাতার একাধিক এলাকা তবুও সচেতন নয় মানুষ ৷ যদিও রেড জোন হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া অঞ্চলে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা নিয়ে কোনও পরিসংখ্যান এখনও মেলেনি ৷
