নির্বাচন কমিশনের নিয়ম দেখিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বক্তব্য, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের জন্য কোনও কর্মী যখন বাড়ি থেকে বেরোন, সেই মুহূর্ত থেকেই তাঁর ভোটের ডিউটি শুরু হয়ে যায়। সেই ডিউটি শেষ হয় ভোটগণনা সেরে কর্মী নিজের বাড়ি পৌঁছনোর পর। জেলাশাসকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৩ জন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের। পশ্চিমবঙ্গের মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই চালু ছিল উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ৪ দফার ভোটপর্ব। ভোটগণনা হয় ২ মে।
advertisement
যদিও যোগী সরকারের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে সে রাজ্যের বেশিরভাগ শিক্ষক সংগঠন। তাদের দাবি অনুযায়ী, ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ১৬২১ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি দিয়ে মৃতদের পরিবারপিছু ১ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য এবং সরকারি চাকরির দাবিও জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে তালিকায় মৃত শিক্ষকদের নাম, স্কুলের নাম, পদ, ব্লক ও জেলার নাম, মৃত্যুর দিন ও পরিবারের একজনের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সঙ্ঘের প্রধান দীনেশচন্দ্র শর্মার দাবি, 'সরকারি স্কুল শিক্ষকদের প্রতি রাজ্যের এমন মনোভাব খুবই দুর্ভাগ্যজনক।'
দেশ ও রাজ্যে অতিমারির বাড়বাড়ন্তে পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে দেওয়া দাবি জানিয়েছিল শিক্ষক সংগঠনগুলি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি যোগী সরকার। এরপরেই ভোটগণনা বয়কটের ডাক দেয় শিক্ষক সংগঠনগুলি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই হেরে ভোটের ডিউটিতে যোগ দিতে বাধ্য হন সরকারি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন সবরকমের কোভিডবিধি মেনে চলার আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে কিছুই হয়নি।

