আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও বুকিং নেওয়া যাবে না। হোটেল মালিকদের নির্দেশ জিটিএ-র৷ কোনওভাবেই নতুন করে বুকিং নেওয়া যাবে না। আজ বৈঠক শেষে একথা ঘোষণা করেন জিটিএ-র চেয়ারম্যান অনীত থাপা। এমনকী বুকিং বাতিলের টাকাও ফিরিয়ে দিতে হবে পর্যটকদের। শুধু পাহাড়ের হোটেল নয়, সব হোম স্টে'তেও একই নির্দেশিকা জারি।
দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পং এবং মিরিক সহ জিটিএ'র আওতাভুক্ত সব ট্যুরিজম স্পটেই একই নির্দেশিকা কার্যকরী করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে গাড়ি চালকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনওভাবেই যেন তারা পর্যটকদের নিয়ে জিটিএ এলাকায় চলাচল না করে। পাহাড়ের সাধারন মানুষদেরও প্রয়োজন ছাড়া জিটিএ'র এলাকার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ১০ জনের বেশী এক জায়গায় জমায়েতও করা যাবে না পাহাড়জুড়ে। পাহাড়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের ছেলে মেয়েদের যেন অনলাইন এডুকেশনে এই মূহূর্তে ব্যস্ত রাখেন। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের কাছেও সভা, জমায়েত না করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
advertisement
করোনা মোকাবিলায় সতর্ক জিটিএ। পাহাড়ের বিভিন্ন ক্লাব, কমিউনিটি হলেও জমায়েত নয়। জিটিএ'র চেয়ারম্যান জানান, এই মূহূর্তে পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাই প্রাধান্য। পর্যটন ব্যবসা নয়। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হবে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জিটিএ'র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, জেকাশাসক, পুলিশ সুপার, ট্যুর অপারেটার এবং গাড়ি চালক ও মালিকেরা। এর আগেই পাহাড়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, চিড়িয়াখাবা সহ একাধীক বৌদ্ধ মঠের দরজা বন্ধ। জিটিএ'র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এই মূহূর্তে বিদেশী পর্যটকও রয়েছে পাহাড়ে।
Partha Sarkar