এইমসের গবেষণায় উঠে এসেছে, ইউকে-তে পাওয়া করোনার 'আলফা' স্ট্রেইন থেকে প্রায় ৪০-৫০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক এই ডেল্টা স্ট্রেইন। এবং এই স্ট্রেইনের জেরেই ভারতের করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এতটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এইমস ও ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টাগ্রেটিভ বায়োলজির নতুন এই গবেষণা করা হয়েছিল হাসপাতালের এমারজেন্সিতে শুয়ে থাকা ৬৩ জন উপসর্গযুক্ত রোগীকে নিয়ে। তাঁদের পাঁচ থেকে সাতদিন টানা খুব বেশি পরিমাণে জ্বর ছিল।
advertisement
এই ৬৩ জনের মধ্যে ৫৩ জনের কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেওয়া ছিল। এবং বাকিরা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। ৩৬ জনের যে কোনও একটি ভ্যাক্সিনের দু'টি ডোজই নেওয়া ছিল। একটি করে ডোজ নেওয়া রোগীদের ৭৬.৯ শতাংশের শরীরে করোনার ডেল্টা স্ট্রেইন পাওয়া গিয়েছে। এবং দু'টি করে ডোজ নেওয়াদের ৬০ শতাংশের শরীরে ডেল্টা স্ট্রেইন মিলেছে। করোনার ওই প্রজাতিটির নাম বি.১.৬১৭.২। ভারতে করোনাভাইরাসের তিন বার রূপ পরিবর্তনকারী প্রজাতি অর্থাৎ বি.১.৬১৭ পাওয়া গিয়েছে। তারই একটি রূপ এটি। গত মাসে এই প্রজাতির তিনটি প্রকারভেদকেই উদ্বেগজনক ভাইরাস হিসাবে চিহ্নিত করেছিল হু (WHO)।
ভারতে পাওয়া গিয়েছে করোনাভাইরাসের প্রজাতি ডেল্টা স্ট্রেইনই সবচেয়ে ভয়ানক ও উদ্বেগের। এটি অসম্ভব সংক্রামক ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে। দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতার জন্য এই স্ট্রেইনই দায়ী। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষণায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় আলফা স্ট্রেইনের তুলনায় ডেল্টা স্ট্রেইন প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি ছোঁয়াচে। যদিও করোনায় মৃত্যুর জন্য এই স্ট্রেইনই একমাত্র দায়ী কিনা তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।
