সারা ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা হল ৩৭৭ ৷ গত চব্বিশ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৩৮ ৷ দেশে করোনা আক্রান্ত ১১ হাজার ৪৩৯, এমনটাই বুধবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৷
গত ৬ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার৷ প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারত আগে থেকেই পদক্ষেপ করেছে। তাই অন্য শক্তিধর উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের দেশে সংক্রমণ অনেকটাই রোখা গিয়েছে ৷
advertisement
ঘরবন্দি জীবন। ঘরে বন্দি থেকেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। গত ২৫ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে লকডাউন। প্রথমে একুশ দিন। তারপর আরও উনিশ দিন। লকডাউন চলবে ৩ মে পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, এই লকডাউনের কড়া দাওয়াইয়ের জেরেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা রোখা গিয়েছে। না হলে এতদিনে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষে ছাড়িয়ে যেত। ভারতের অবস্থা হতে পারত আমেরিকা বা ইতালির মতো। কিন্তু, তা হয়নি কারণ লকডাউনের ওষুধে ফল মিলেছে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকের অবশ্য দাবি, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ার অন্যতম কারণ, এ দেশে করোনার পরীক্ষাই কম হচ্ছে। কম পরীক্ষা হওয়ায়, আক্রান্তের খোঁজও কম মিলছে। তাই সরকারে খাতায় আক্রান্তের সংখ্যাও কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম থেকেই টেস্টের উপর জোর দিচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় হুয়ের প্রেসক্রিপশন - টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট। ভারতও তাই আরও বেশি করে টেস্টের পথে হাঁটছে। কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে, এবার থেকে যে সব এলাকায় সেভাবে করোনা ছড়ায়নি, সেই গ্রিনজোন গুলিতেও করোনার টেস্ট করা হবে।