করোনার ভরকেন্দ্র আমেরিকা। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুতে প্রেতপুরী নিউইয়র্ক। ঠিক সেই সময়ই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের কাছে চেয়ে পাঠান হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। না হলে ফল ভুগতে হবে বলেও হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সময় নষ্ট করেনি ভারত। নীতি বদল করে আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। করোনায় আশঙ্কাজনকদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে,এরকমই ছিল বিশেষজ্ঞদের মত। কিন্তু আমেরিকার গবেষণায় দেখা গেল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগে হিতে বিপরীত।
advertisement
ICMR-এর পরামর্শ. করোনায় সঙ্কটাপন্নদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে ৷ চিকিৎসক,স্বাস্থ্যকর্মীদেরও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে ৷
ইউএস ভেটেরনস হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষণা
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ এবং ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সাহায্যে গবেষণা করা হয় ৷
৩৬৮ জন করোনা আক্রান্তের উপর গবেষণা
৯৭ জন আক্রান্তকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়
আক্রান্তদের কাউকে অ্যাজিথ্রোমাইসিন-সহ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়
আক্রান্তদের কাউকে শুধুমাত্র হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগে অবশ্য সেরকম ফল মেলেনি
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দিয়েও এঁদের মৃত্যুর হার ২৭.৮%
এমনকী, এঁদের প্রত্যেককে ভেন্টিলেশনেও রাখতে হয়
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়নি ১৫৮ জন আক্রান্তকে
১৫৮ আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার তুলনায় কম
১৫৮ আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার ১১.৪%
দশকের পর দশক ধরে ভারতে ম্যালেরিয়া,আরথরাইটিসে আক্রান্তদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হত। কিন্তু করোনা রোগীর ক্ষেত্রে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ততটা কার্যকর নয় বলেই দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের। এই গবেষণাতেই চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের কপালে। করোনা আটকাতে তাই ভ্যাকসিনই একমাত্র ভরসা বলেই মনে করছে বিভিন্ন দেশ ৷