TRENDING:

Corona Warriors: বাবা মারা গিয়েছেন, মা-ভাই হাসপাতালে, তবু রোগীর সেবা করছেন Pune-র চিকিৎসক!

Last Updated:

গত ২৬ এপ্রিল বাবার মৃত্যু হয়েছে করোনায় । মা ও ভাই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি । তবু কর্তব্যে অবিচল মুকুন্দ । কোনও খামতি নেই নিজের কাজে ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পুণে: এতটুকু গাফিলতি নেই, নেই কোনও অবসর । নিরন্তর দেশের জন্য নিজেদের জীবন বাজি রাখছেন করোনা যোদ্ধারা (Corona Warrior)। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Corona 2nd Wave)-এ টালমাটাল ভারত । বুকফাটা আর্ত চিৎকারে, স্বজন হারানোর কান্নায় দেশের বাতাস ভারী হয়ে উঠছে । ক্রমশই ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য-পরিকাঠামো । হাসপাতালে বেড নেই, পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই । একের পর এক চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন । তার মধ্যে অনেকেই মারা যাচ্ছেন । তবু দেশবাসীকে সেবা দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিপিই কিট পরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন চিকিৎসকরা । তাঁদের বিশ্রাম নেই, নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই, দিনের পর দিন পরিবারের মানুষদের সঙ্গে দেখা নেই । এ ভাবেই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার স্রোতকে দু’হাতে রোধ করার যথাসম্ভব চেষ্টা করে চলেছেন তাঁরা ।
নিজের কর্তব্যে অবিচল পুণের এি চিকিৎসক ।
নিজের কর্তব্যে অবিচল পুণের এি চিকিৎসক ।
advertisement

পুণে (Pune)-র এই চিকিৎসকের ঘটনা যেন সেই ভয়ঙ্কর লড়াইকেই আরওএকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল । তিনি পুণের সঞ্জীবন হাসপাতালের ডিরেক্টর মুকুন্দ পেনুরকর। গত ২৬ এপ্রিল বাবার মৃত্যু হয়েছে করোনায় । মা ও ভাই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি । তবু কর্তব্যে অবিচল মুকুন্দ । কোনও খামতি নেই নিজের কাজে । এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মুকুন্দ বললেন, “পরিস্থিতি খুব কঠিন। আমরা হাতে হাত রেখে বসে থেকে মানুষের মৃত্যু দেখতে পারি না।” সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি ট্যুইটের পরেই এই চিকিৎসকের কাহিনী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ।

advertisement

advertisement

ডঃ মুকুন্দ আরও জানান, ‘‘বাইরের অবস্থা খুব একটা ভাল নয় আমরা জানি । আমার বাবাকে বাঁচানোর সমস্ত চেষ্টা করেছিলাম আমি ও আমার হাসপাতাল । কিন্তু তাঁকে আমরা ধরে রাখতে পারিনি । মা ও ভাইয়ের এখনও চিকিৎসা চলছে । অনেকদিন ধরে আমি কোভিড রোগীদের নিয়ে কাজ করছি । কখনও কখনও স্বাস্থ্যকর্মীদের পক্ষেও সমস্ত রোগীদের দেখভাল করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে । তাই বাবার মৃত্যুর পরেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভভ আমি কাজে ফিরেছি । মাত্র তিন দিনের মাথায় আমি কাজে আসি । কারণ সমাজের, মানুষের, রোগীদের সেবা করার মধ্যে দিয়ে আমি আমার বাবার জন্য সেরা উপহারটি দিতে পারব ।’’

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

ভারতের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ । কিছুদিন আগেই দিল্লির এক তরুণ চিকিৎসক মানসিক ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন । ৩৬ বছরের ওই চিকিৎসক গত এক মাস ধরে সঙ্কটজনক রোগীদের দেখভালের জন্য আইসিইউ-র দায়িত্বে ছিলেন । কিন্তু একের পর এক রোগীর মৃত্যু খুব কাছ থেকে দেখার পর ভেঙে পড়েন তিনি । নিজের ফ্ল্যাটেই গলার দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
Corona Warriors: বাবা মারা গিয়েছেন, মা-ভাই হাসপাতালে, তবু রোগীর সেবা করছেন Pune-র চিকিৎসক!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল