সম্মতিপত্রে পরিষ্কার লেখা রয়েছে, “ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (কোভ্যাকসিনটিএম) জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে এই ভ্যাকসিন। তবে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এখনও সম্পূর্ণ রূপে প্রমাণিত হয়নি, কারণ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়নি এ পর্যন্ত। তাই এই ভ্যাকসিন নিলেও, মেনে চলতে হবে করোনার বিরুদ্ধে সব রকম নিয়মবিধি।”
advertisement
আরও বলা হয়েছে, “ভ্যাকসিন নিয়ে কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে, সরকারি তরফে নেওয়া হবে পদক্ষেপ। সেই ব্যক্তির চিকিৎসা করানো হবে সরকারি তরফে, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায়। ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে যদি কোনও খারাপ ঘটনা ঘটে, তবে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ।”
শুধু তাই নয়, “ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে আমার দেওয়া সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে সরকারি ডেটাবেসে। এবং আমার দিক থেকে, সরকারি তরফে পাওয়া সমস্ত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখব।” এই বিবৃতি মেনে সই করতে হবে টিকা নেওয়ার আগে। কনসেন্ট ফর্ম ছাড়াও, টিকা নেওয়ার সময় দেওয়া হচ্ছে আরও একটি ফর্ম। টিকা নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে কোনও গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিলে, জ্বর অথবা ব্যথার মতো উপসর্গ লিখে জমা দিতে হবে এই ফর্ম।
ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন নামের এই ভ্যাকসিন এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড আবিষ্কৃত কোভিশিল্ড, এই দুই ভ্যাকসিন টিকাকরণের জন্য সরকারি অনুমোদন পেয়েছে এ দেশে। তবে কোন ভ্যাকসিন নেবেন, তা নিজে পছন্দ করতে পারবেন না দেশবাসী।