TRENDING:

Chittoor: করোনাকালে তিনি যেন দেবদূত! মধ্যরাতে ৮ জন রোগীর প্রাণ বাঁচাতে যা করলেন এই ব্যক্তি

Last Updated:

সঠিক সময়ে তাঁর নেওয়া এই পদক্ষেপ এবং প্রচেষ্টা আট জনের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করে। গত বছর লকডাউনের সময় এক ঘটনা বরুণের চোখ খুলে দেয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#চিত্তুর: অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের (Chittoor) বাসিন্দা বরুণ কুমার (Varun Kumar)। তিনি বেঙ্গালুরুতে ফার্মা বিজনেস হেড। গত ৬ মে রাত ১:৩০ মিনিট নাগাদ হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি Twitter-এ SOS পান তিনি। জানা যায়, ৮ জন রোগীর জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন। সেই মর্মে হাসপাতালের তরফে অক্সিজেন সংগ্রহের জন্য একটি গাড়ি পাঠানো হয়েছে। বরুণ সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ফোন করে খবরটি নিশ্চিত করেন এবং তড়িঘড়ি নিজের কাজে নেমে পড়েন। তিনি পুলিশ সিটি কমিশনার কমল পন্থ (Kamal Pant)-সহ অনকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরো পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেন।
advertisement

বরুণ জানান, "কমিশনার আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক করা হবে। এবং তিনি আমাকে সহকারী পুলিশ কমিশনার অজয় কুমারের (Ajay Kumar) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। কিন্তু এদিকে সেখানে পিনিয়া শিল্পাঞ্চলে (Peenya Industrial Area) লম্বা লাইন থাকার কারণে অক্সিজেন বহনকারী গাড়ির চালক জানিয়ে দেন যে, গাড়িতে অক্সিজেন ভর্তি করতে প্রায় ভোর হয়ে যাবে।”

advertisement

ওই হাসপাতালে আটজন রোগী যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তখন বরুণের অনুরোধ পেয়ে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালের ওই অক্সিজেন যানবাহন পূরণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশ পাঠিয়ে দেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (ACP)। এসিপি ব্যক্তিগতভাবে অক্সিজেন-ফিলিং ইউনিটের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমন্বিত হয়ে হাসপাতালের অক্সিজেনের যানবাহনকে অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়টিকে নিশ্চিত করেছেন বরুণ। সঠিক সময়ে তাঁর নেওয়া এই পদক্ষেপ এবং প্রচেষ্টা আটটি জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। গত বছর লকডাউনের সময় এক ঘটনা বরুণের চোখ খুলে দেয়। হঠাৎ করেই একজন পরিযায়ী শ্রমিক তাঁর গাড়ির কাচে আঘাত করতে থাকেন, এবং খাবার চান। বরুণ বলেন, "আমি কোথাও পড়েছি যে দেশ গড়ার লোকেরা গৃহহীন। এই ঘটনাটি আমাকে পুরোপুরি নাড়া দিয়েছিল। আমি প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলি এবং তাঁদের সাহায্য নিয়ে প্রতি দিন দু'জনকে খাওয়ানো শুরু করি।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মন্থার প্রভাবে উত্তাল রাতের দিঘা! এত্ত ক্ষতি- মাথায় হাত হোটেল মালিক থেকে দোকানদারদের
আরও দেখুন

তবে তিনি অনুভব করেন যে, তাঁর এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। তাই এই প্রচেষ্টাকে আরও বড় করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, বাড়ি কিনতে তিনি যে ৫ বছরের সঞ্চয় ব্যয় করতে চলেছেন তা তিনি এই মানুষগুলোর মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার কাজে লাগাবেন। শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিক নয়, যাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে, তাঁদের সকলকেই তিনি সাহায্য করতে প্রস্তুত। পুরো লকডাউন সময়কালে প্রায় ১২,০০০ পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার সরবরাহ করার পাশাপাশি ৫,০০০ অভাবী মানুষদের রেশন সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। বরুণের এই পদক্ষেপ কয়েকশো মানুষকে অনাহারে থাকার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
Chittoor: করোনাকালে তিনি যেন দেবদূত! মধ্যরাতে ৮ জন রোগীর প্রাণ বাঁচাতে যা করলেন এই ব্যক্তি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল