আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের সামনে এতদিনে মুখ খুলে এমনই সব বিস্ফোরক দাবি জানাচ্ছেন লি মেং ইয়াং। লি বলছেন, ডিসেম্বর নয়, করোনার কথা অনেক আগে থেকেই জানত চিন। তার আরও অভিযোগ তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা নিতে পারত। কিন্তু তাকে পাত্তাই দেয়নি নামজাদা বিশেষজ্ঞরা।
এখনও চিনেই রয়েছেন লি মেং-এর পরিবার। দুঃস্বপ্নের মতো এই সময়ে লি নিজেকে বিশ্বাস করাচ্ছে আর দেখা হবে না কারও সঙ্গে। কারণ তাঁর দৃঢ় ধারণা, চিন সরকার তাঁকে কঠিন শাস্তি দিতে চায়।
advertisement
এ দিন একটি গোপন স্থানে লি-এর ইন্টারভিউ নেয় ফক্স নিউজ। সেখানে লি স্পষ্ট বলেন, "আমার অন্যায়, আমি প্রাণ বাঁচাতে আমেরিকায় পালিয়ে এসেছি। এবং সব খুলে বলছি।"
লি এর দাবি, অনেক আগেই তিনি এই ভাইরাসের বিষয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানের শীর্ষকর্তাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেই তাঁর মতো 'বিদেশিদের' কাজ বন্ধ করে দেয় চিন। হংকংয়ের বাসিন্দা হয়েও কাজ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার ছিল না তাঁর।
চিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিধ্বংসী তথ্য দিচ্ছেন লি। তাঁর কথায়, "বহু রোগীই ঠিক মতো চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছিল না। আমাদের চুপ করিয়ে রাখা হত। মাস্ক পরে থাকতে হত শুধু।"
লি-এর আরও অভিযোগ, এই গোটা ঘটনাই জানতেন হু-এর অনুমোদিত গবেষণাগারের প্রধান প্রফেসর মালিক পেইরিস। পেইরিস এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।